(মো: নাজিম উদ্দিন, মুরাদনগর )
কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলায় যৌতুক না দেওয়ায় গৃহবধূ ছালমা অক্তার(২৫)’কে স্বামী ও শাশুড়ি নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর থেকে স্বামী ও শাশুড়ী পলাতক রয়েছে।সোমবার রাতে উপজেলার কামাল্লা ইউনিয়নের নেয়ামতপুর দক্ষিন পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মেয়ের ভাই আনোয়ার হোসেন ও স্বামীর বড় ভাইয়ের স্ত্রী নূরু বেগম জানান, প্রায় ১০ বছর পূর্বে উপজেলার নেয়ামতপুর গ্রামের খোরশেদ মিয়ার ছেলে নবী আলম(৩০) এর সাথে দেবিদ্বার উপজেলার ছেপাড়া গ্রামের মৃত্যু ফজলুল হকের মেয়ে ছালমা আক্তারের সাথে পারিবারিক ভাবে বিবাহে আবদ্ধ হয়।
বিয়ের পর থেকে স্বামী ও শাশুড়ি মিলে বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য ছালমাকে নির্যাতন চালাত। এরই মধ্যে তাদের সংসার জীবনে ইয়ামিন(৬) নামে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। সর্ব শেষ গত এক সপ্তাহ থেকে বাবার বাড়ি থেকে সম্পত্তির অংশ আনার জন্য ছালমাকে চাপ সৃষ্ঠি করে।
এরই জেরে সোমবার সন্ধ্যা থেকে শাশুড়ির সাথে বিরোধ তৈরী হয় পরে রাতে স্বামী বাড়িতে এসে ছালমাকে মারধরসহ নির্যাতন চালায়। রাত ১টার দিকে স্বামী নবী আলম স্থানীয়দের ডেকে বলে ছালমাকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা।
পরে রান্না ঘরে ছালমার মৃতুদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। মুরাদনগর থানা পুলিশ খবর পেয়ে এসআই মমিনুল হকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় ঘটনার স্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (কুমেকে) প্রেরন করা হয়।
এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) ইয়াসিন গাজী জানান, মেয়ের পরিবারের লোকজনের অভিযোগের বিত্তিতে ও ময়না তদন্তের রির্পোট পাওয়া গেলে সে অনুযায়ি প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply