নিজস্ব প্রতিবেদক:
কাউন্সিলর সোহেল হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় শাখওয়াত হোসেন জুয়েল নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে নাঙ্গলকোটের গান্দাচি গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। বুধবার বেলা ১টার সময় সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম তানভীর।
সংবাদ সম্মেলনে এম তানভীর জানান, ২০১৪ সালে জুয়েল ও কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল হত্যা মামলার প্রধান আসামির সাথে জেলখানায় বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। ২২ ডিসেম্বর কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহাকে হত্যার পরের দিন শাহআলম নাঙ্গলকোটের গান্দাচি গ্রামে জুয়েলের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। ওইদিন রাতেই শাহআলম জুয়েলকে অস্ত্রগুলো নিরাপদে রাখতে বলে।
একদিন থাকার পর ২৪ নভেম্বর অস্ত্রগুলো রেখে পালিয়ে যায় শাহআলম। ৩০ নভেম্বর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জুয়েলের বাড়িতে অভিযান চালায় ডিবি পুলিশের একটি টিম। এসময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ৭.৬৫ বিদেশি পিস্তল, একটি বিদেশি রিভলবার, দুটি পিস্তলের ম্যাগাজিন ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় বাদি হয়ে শাহআলম ও জুয়েলকে আসামি করে নাঙ্গলকোট থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেছেন কুমিল্লা ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিমল দাস।
এম তানভীর আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে জুয়েল স্বীকার করেছে এগুলো কাউন্সিলর সোহেল হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র। আমরা অধিকতর নিশ্চিত হওয়ার জন্য যাচাই-বাছাই করবো।
তিনি জানান, অপর আসামি শাহআলমকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিমল দাস জানান, গ্রেফতার আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।
Leave a Reply