মাহফুজ বাবু;
“চলো যাই যুদ্ধে মাদকের বিরুদ্ধে” এই স্লোগানকে সামনে রেখে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ইস্পাত কঠিন শপথ নিয়ে একযোগে সারাদেশে পরিচালিত হচ্ছে সাড়াশি অভিযান। মাদক নির্মূলের দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে সারাদেশব্যপী প্রশাসনের অভিযানের ১০ম দিন আজ শুক্রবার। আগামী প্রজন্মকে মাদক মুক্ত সুন্দর সুস্থ বাংলাদেশ উপহার দিতে দিনরাত কাজ করে চলেছে প্রশাসন। ইতিমধ্যে এই অভিজানে কুমিল্লার ৬ শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী সহ গত ১০দিনে সারাদেশে ৫২ জন তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছে। মাদকের ট্রানজিট পয়েন্ট সীমান্ত এলাকা সহ কুমিল্লার বিভিন্ন এলাকায় মাদকের আস্তানায় হানা দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে মাদকের আখড়া।
কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেনের তত্ত্বাবধানে জেলা ডিবি, পুলিশ ও যার্ব সহ বিভিন্ন বাহিনীর বিশেষ অভিযানে ইতিমধ্যেই কমে এসেছে এ অঞ্চলের মাদকের প্রাদুর্ভাব।
গতকাল শুক্রবার ইফতার শেষে কুমিল্লা কোটবাড়ি বিশ্বরোড এলাকায় ব্যতিক্রমী এ আয়োজন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী ও জেলা পুলিশ সুপার কে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে যুব ও ছাত্রদের নিয়ে আনন্দ মিছিল এবং মিষ্টি বিতরণ করা হয়। কোটবাড়ি ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে আয়োজিত এ আনন্দ মিছিলে অংশগ্রহণ করে সিটি কলেজ, ভিক্টোরিয়া কলেজ, পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা। মাদক বিরোধী এ অভিযান কে সাদুবাদ জানিয়ে কোটবাড়ি ধনপুর এলাকার তরুণ ব্যবসায়ী ও ঠিকাদার লোটাসের নেতৃত্ব মিছিলে অংশ নেয়া শিক্ষার্থী সহ এলাকার যুবকদের মাঝে এসময় মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
কোটবাড়ি এলাকার তরুণ ও যুব সমাজের প্রিয়মুখ এবং উদিয়মান নেতা লোটাস জানান, “মাদকের বিরুদ্ধে চলমান এই অভিযান সত্যই অত্যন্ত প্রশংসাজনক। মাদকের কড়াল গ্রাসে যখন আগামী প্রজন্ম এবং বর্তমান যুবসমাজ ধ্বংশের দিকে ধাবিত হচ্ছে। ঠিক তখনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন তা অবশ্যই একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। মাদক ও ইয়াবার কারবারিদের বিরুদ্ধে কুমিল্লার প্রশাসন যে শক্ত পদক্ষেপ গ্রহন করেছে তার জন্য সুযোগ্য পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সকল কে ধন্যবাদ জানাই। আশাকরি মাদকের বিরুদ্ধে এই অঅভিযান সফল হবে। এবং কুমিল্লা হবে মাদক মুক্ত পরিচ্ছন্ন আদর্শ জেলা। এদেশের আগামী প্রজন্ম বেড়ে উঠবে মাদকমুক্ত সুস্থ সুন্দর পরিবেশে।”
Leave a Reply