অনলাইন ডেস্ক:
বিয়ের চার দিনের মাথায় লা’শ হতে হলো পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) কনস্টেবল জাহিদুল ইসলাম রুবেলের স্ত্রীর। গত ১ জানুয়ারি বছরের প্রথমদিনে জাহিদুলের সঙ্গে বিয়ে হয় কুমিল্লার মেহনাজ জেরিন নিপার। ঢাকায় চাকরির কারণে গত ৩ জানুয়ারি গ্রামের বাড়ি থেকে স্বামীর সঙ্গে ঢাকায় আসেন নিপা।
স্বামী রুবেলের বাসস্থান অফিসের মেস হওয়ায় স্ত্রীকে নিয়ে ওঠেন রাজধানীর উত্তর কমলাপুরের হোটেল সিটি প্যালেস ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি আবাসিক হোটেলে। আর সেই হোটেল থেকে মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) বের করা হয় মেহনাজ জেরিন নিপার (২৪) ম’রদেহ। নিপা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের সমাজকল্যাণ বিভাগের স্নাতোকোত্তরের শিক্ষার্থী ছিলেন।
নিপার স্বজনদের অভিযোগ, স্বামী রুবেলই তাকে আ’ত্মহ’ত্যায় প্ররোচিত করেছে। এ ঘটনায় জাহিদুল ইসলাম রুবেলের বিরুদ্ধে আ’ত্মহ’ত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মাম’লা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওই তরুণীর মৃ’তদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় ভেতর থেকে রুমের দরজা বন্ধ করা ছিলো। গত ৩ জানুয়ারি ওই রুমটি ভাড়া নেয় নীপার স্বামী।
হোটেল সূত্র বলছে, গত ৩ জানুয়ারি তারিখে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ২ জন হোটেলের ওই রুমটি ভাড়া নেয়। এরপর স্বামী অসুস্থতার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কথা বলে হোটেল থেকে চলে যায়। এসময় ওই তরুণী হোটেলে একাই ছিলো। মঙ্গলবার সকালে কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়ায় খবর পেয়ে পুলিশ এসে রুমের দরজা ভেঙে লা’শ উদ্ধার করে।
ম’রদেহ উদ্ধারের পর ঢাকা মেডিকেল কলেজের ম’র্গে নিয়ে যায় পুলিশ। স্বজনদের অভিযোগ, নীপাকে মান’সিক নি’র্যাতনের মাধ্যমে আ’ত্মহ’ত্যার প্ররোচনা দিয়েছিল স্বামী পুলিশ কনস্টেবল রুবেল।
পুলিশ বলছে, স্বামী যেহেতু মেসে থাকেন, তাই স্ত্রী নীপাকে নিয়ে উঠেন কমলাপুরের হোটেল সিটি প্যালেস ইন্টারন্যাশনালে। কিন্তু স্ত্রীকে একা রেখে হোটেল থেকে কেন চলে যান রুবেল সে কারণই জানা যায়নি।
এ ঘটনায় রাজধানীর মতিঝিল থানায় কনস্টেবল রুবেলের বিরুদ্ধে মাম’লা দায়ের করেন নিহতের ভাই আহসানুল কবির।
মামলার বাদী আহসানুল কবির বলেন, জাহিদুল আমার বোনকে আ’ত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে। না হলে বিয়ের ৫ দিন পার না হতেই কেন সে আ’ত্মহ’ত্যা করলো?
Leave a Reply