অনলাইন ডেস্ক:
বাংলাদেশের জনপ্রিয় গায়ক আসিফ আকবর। বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় পপ-ধারার সঙ্গীত শিল্পী। তিনি তার সুরেলা কন্ঠের জন্য দেশ বিদেশে বিশেষভাবে সুপরিচিত। একসময় জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকলেও বর্তমানে কিছুটা কম কাজই করছেন। তবে কিছু মিউজিক ভিডিও নিয়েও ব্যস্ত আছেন। গত ২৮ মে তিনি তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। স্ট্যাটাসটি নিম্নে দেয়া হলঃ
২০১৭ সালের শুরু থেকেই টিভি পত্রিকায় ঘ্যান ঘ্যান করে আসছি আরেকটা বিয়ে করবো। এ নিয়ে আমার একমাত্র বউয়ের কোন অবজেকশন না থাকায় জাতিরও উদ্বিগ্ন হওয়ার কথা নয়। মাঝে মাঝে ফ্যান পেজে এই নিয়ে মন্তব্যের উত্তরও দিয়েছি। বেশীর ভাগ অডিয়েন্স পোল বিয়ের বিপক্ষে আর কিছু রহম হৃদয় ফ্যান বলেছেন- ভাবীকে একটু বিশ্রাম দেয়া দরকার। আমিও ভেবে দেখলাম কিছু বুঝে ওঠার আগেই প্রেম বিয়ে সংসার নিয়ে মোট ত্রিশ বছর কেটে গেলো। একজন ক্রিকেটার এবং দলীয় অধিনায়ক হিসেবে আমার বেগমের ক্ষেত্রে ‘রিটায়ার্ড হার্ট’ অপশন টা এ্যাপ্লাই করা যেতে পারে, তবে ডিভোর্স শব্দটা এক্ষেত্রে আসবেনা।
তাছাড়া ছেলেরাও যুবক হয়ে গেছে, এখন ওরাই আমার মুল প্রতিদ্বন্দ্বী। বাই চান্স যদি ওরা দ্রুত বিয়ে করে ফেলে তাহলে আমি একটা শৃঙ্খলার মধ্যে পড়ে যেতে পারি, সুতরাং হাতে সময় কম। আর পৃথিবীতে আমিই একমাত্র পুরুষ না যিনি দ্বিতীয় বিয়ের কথা ভাবছেন। আমার অবিবাহিত এবং সদ্য বাবা হওয়া বন্ধুদের কাছ থেকে বেসিক উৎসাহ পাচ্ছি।
এদিকে মারজুকের গান গাইলাম বকবক টগবগ, প্রেম বিরহ বিবাহ ডিভোর্স নিয়ে মিডিয়া আর জাতি উত্তেজিত। মিডিয়াতে এ বছর সর্বসাকুল্যে হয়তো দশটি এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এই নিয়ে ফ্যানদের কৌতুহলের শেষ নেই। কোন কোন ফ্যানতো আর্টিস্টের ক্যারিয়ার শেষ বলে মতামত দিচ্ছে দেদারসে। ক্যারিয়ার আসলে পাকা জাম ফল না, আড়াই দিনে ঝরে পঁচে যাবে। পত্রিকা বেচার একটা ছোট কৌশল হচ্ছে সেলিব্রেটিদের ব্যক্তি জীবন নিয়ে নাড়াচড়া করা।
অথচ প্রচুর সাংবাদিকের কিচ্ছা আমার কাছে আছে, যেগুলোর কারনে আমিই ‘সাপ্তাহিক সাংবাদিক সংবাদ’ নামে একটি পত্রিকা খুলতে চেয়েছিলাম। এদিকে খবর নিয়ে দেখেছি সেলিব্রেটিদের নিয়ে যারা বকবক করে, তাদের মধ্যে বিবাহোত্তর ডিভোর্সের হার হাজার হাজার গুন বেশী, হাতে প্রমানের অভাব নেই। তাদের নিয়ে আলোচনা হবেনা, কারন তারা শোবিজের লোক না, উপভোগকারী মাত্র।
যাই হোক, গত আঠারো মাস ঘোষণা দিয়ে একটা বিয়ের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি, কাজ হচ্ছেনা। আমার বেগমের পূর্ণ সমর্থন পেয়েছি, ছেলেরাও ১৮+ হয়ে গেছে, আমি দায়িত্ব মুক্ত, এবার জোর চেষ্টা চালাবো। টেলিফোনে এস এম এস করে এক আপু লোভনীয় অফার দিয়েছে, আমার ভয় ধরে গেছে।
পূর্ব দক্ষিনে সারাজীবন কাটালাম, পশ্চিমে কেবলা, এবার উত্তরে যাবো, আশা করি রংপুরেই বিয়েটা করতে পারবো। যার জীবন, সেই তার জীবনের প্রয়োজনীয়তা বুঝবে, গ্যালারী ভর্তি দর্শকের তা বোধগম্য হওয়া সম্ভব নয়। সবার দোয়া এবং বদদোয়া নিয়েই এগুতে চাই, মূল শ্লোগান হোক– বদমাইশির চেয়ে বিয়ে উত্তম !! ভালবাসা অবিরাম …
Leave a Reply