(বারী উদ্দিন আহমেদ বাবর, কুমিল্লা)
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে পৌর সদরের উকিলপাড়া আলী নোয়াবের বাড়ীতে থেকে গতকাল মঙ্গলবার রোকেয়া বেগম (২৪) নামের এক গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। সে কেন্দ্রা গ্রামের আব্দুর ছাত্তারের মেয়ে। পুলিশ ময়না তদন্ততের জন্য লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, স্বামী ছেড়ে যাওয়ার পর রোকেয়া দীর্ঘ দুই বছর উকিলপাড়ায় আলী নোয়াবের বাড়ীতে গৃহকর্মির কাজ নেয়। স্বপ্ন ছিলো গৃহকর্মির কাজ করে তার ৫ বছরের শিশুপূত্র রাফায়েত হোসেনকে মানুষ করবে। নিয়ম অনুযায়ী সে প্রতিদিন সকাল ৭ টায় কাজে যায় দুপুর ১ টায় কাজ শেষ করে বাড়ি আসে। প্রতিদিনের মত রোকেয়া মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় ওই বাড়ীতে কাজ করতে যায়। দুপুরের দিকে পরিবারের কাছে খবর আসে রোকেয়া বিদ্যুতের শক খেয়ে হাসপাতালে আছে। খবর শুনে নিহতের পরিবারের লোকজন হাসপাতালে গিয়ে দেখে রোকেয়ার নিথরদেহ পড়ে আছে। তবে গৃহকর্মির রোকেয়ার মৃত্যুর ঘটনাটি রহস্যজনক বলে মনে করেন পরিবার ও এলাকাবাসী।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আলী নোয়াবের এক প্রতিবেশী জানান, গৃহপরিচারিকা রোকেয়াকে আলী নোয়াবের লোকজন একটু ভূল ত্রুটি হলেই মারধর করতো। গতকালও বাসন কোসন ধোঁয়া নিয়ে আলী নোয়াবের মেয়ে আয়েশা তাকে কিচেনে গিয়ে মারধর করে। একপর্যায়ে রোকেয়া মেঝেতে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারায়। এরপর আয়েশা তার পরিবারের লোকজনকে ফোনে বিষয়টি জানালে তারা এসে রোকেয়াকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার ইসিজির পর তাকে মৃত ঘোষনা করে।
এ বিষয়ে গৃহকর্তার ছেলে মো. আবদুল্লাহ জানান, মাথা ঘুরে কিচেন রুমে পড়ে গেলে আমরা রোকেয়াকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে তাৎক্ষণিক ইসিজি করার পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে নাঙ্গলকোট থানার উপপরিদর্শক (এস.আই) মিজানুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উদ্ধার করে থানায় থানায় রাখা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর রহস্য জানা যাবে। ফাইল ফটো।
Leave a Reply