অনলাইন ডেস্ক:
একের পর এক আক্রমণ। চমক ছড়িয়ে দারুণ খেলছিল। অধিকাংশ সময় বল তাদের দখলেই ছিল। তারপরও শেষ রক্ষা হলো না নেইমারদের। গোটা ম্যাচে কী দুর্দান্তই না খেলা দেখাল ব্রাজিল। অথচ হেরে মাঠ ছাড়তে হলো। কোয়ার্টার ফাইনালে বেলজিয়ামের কাছে ২-১ গোলে হেরে রাশিয়া বিশ্বকাপ থেকে বিদায় ঘটল পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।
এভাবে অপ্রত্যাশিতভাবে হেরে যাওয়ায় তাদের খেলা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। ইতিহাস-ঐতিহ্য, রেকর্ড, পরিসংখ্যান, শক্তিমত্তা (কথিত)-সবদিক থেকে এগিয়ে থেকেও কেন এমন হার পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের? সেই প্রশ্নের জবাব পেতে ম্যাচের ময়নাতদন্ত করেছেন ফুটবল বোদ্ধারা।
যে সকল কারণে শেষ পর্যন্ত ব্রাজিলের এই পরিণতি সংক্ষেপে বিডি২৪লাইভ এর পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরা হলো-
ফেভারিট তকম: এটি ছিল কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচ। যেখানে সার্বিকভাবে ফেভারিট ছিল ব্রাজিল। বিষয়টি গায়ে সেঁটে নিয়েছিলেন নেইমাররাও। এটিই শেষ পর্যন্ত কাল হয়েছে। কারণ, এবারের বিশ্বকাপে ফেভারিট বলতে কিছু নেই। শুরু থেকে ছোট দলগুলো (তথাকথিত) বড় দলগুলোকে ধরাশায়ী করছে। এতদসত্ত্বেও বিষয়টি সতর্কতার সঙ্গে নেননি সেলেকাওরা।
নিষ্প্রভ কুতিনহো: যার ডানায় চড়ে এতদূর এসেছিল ব্রাজিল, সেই তিনিই এ ম্যাচে সবচেয়ে অনুজ্জ্বল। ফলে মাঝমাঠ থেকে যে আক্রমণটা হওয়ার কথা ছির তা হয়নি। বলও জোগান দিতে পারেননি। উল্টো নাগালে পাওয়া একাধিক সুযোগ মিস করেছেন। দুর্বল মিডফিল্ডেরই সুযোগ নিয়েছে বেলজিয়াম। যতবার আক্রমণে উঠেছে তারা, সবই মাঝমাঠ দিয়ে।
ইউরোপিয়ান গতি বনাম লাতিন ছন্দ: আবারো ইউরোপিয়ান গতির কাছে পরাভূত হলো লাতিন ছন্দ। এডেন হ্যাজার্ড, কেভিন ডি ব্রুইনা, রোমেলু লুকাকুদের গতির সঙ্গে কোনোমতেই পেরে উঠেননি থিয়াগো সিলভা, ফ্যাগনার, মিরান্দারা। তবুও নিজেদের ছন্দময় ফুটবল খেলাটাই খেলতে চেয়েছে ব্রাজিল। শেষ পর্যন্ত তা ধোপে টিকেনি।
কাসেমিরোর অনুপস্থিতি: দলে কাসেমেরির অনুপস্থিতি সবাইকে স্মরণ করিয়েছে। তার জায়গাটা কোনোভাবেই পূরণ করতে পারেননি ফার্নান্দিনহো। একজন হোল্ডিং মিডফিল্ডারের কাজ হচ্ছে প্রতিপক্ষের আক্রমণগুলো দুমড়ে মুচড়ে ভেস্তে দেয়া। পাশাপাশি রক্ষণভাগের সামনে প্রাচীর হয়ে থাকা। তা করতে বারবার ব্যর্থ ফার্নান্দিনহো। তাকে দেখে বারবারই মনে হয়েছে, নিজের জায়গাটাই চিনতে পারছেন না তিনি। সেই ফাঁকারই সুযোগ নিয়েছেন হ্যাজার্ডরা। ২-১ গোলে জিতে মাঠ ছেড়েছেন।
Leave a Reply