( মো: শাহীন আলম, চৌদ্দগ্রাম)
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় সুমি আক্তার নামের এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে। নিহত সুমি উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের ধনিজকরা গ্রামের সামছু মিয়া মিস্ত্রীর মেয়ে ও ইউসুফ আলী মিস্ত্রীর স্ত্রী। তিনি দুই সন্তানের জননী। বৃহস্পতিবার সকালে কুমিল্লার একটি হসপিটালে তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে সুমি আক্তার(২৮) জ্বরের কারনে স্থানীয় ধনিজকরা বাজারের কাকলী মেডিকেল হলের ডাক্তার বিশ্বজিৎ আচার্য্যরে চিকিৎসা নিয়েছে। সম্প্রতি বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরও সুমির শারিরীক অবস্থার উন্নতি হয়নি। দুইদিন আগে আবারও ডাঃ বিশ্বজিৎ আচার্য্যকে দেখালে তিনি বেশি পাওয়ারের ইনজেকশন দেয়ার কারনে সুমির অবস্থার অবনতি হয়। বুধবার রাতে পরিবারের লোকজন সুমিকে কুমিল্লায় টাওয়ার হসপিটালে নিয়ে ডাঃ মিজানুর রহমানের স্মরনাপন্ন হয়।
পরে তিনি আগের কাগজপত্র দেখে বলেন, প্রয়োগকৃত ইনজেকশন ও হাই ইন্টিবায়োটিক ওষুধ সুমির শরীরের জন্য ক্ষতি হয়েছে। পরে বৃহস্পতিবার সকালে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমিকে মৃত ঘোষণা করেন। দুপুরে নামাজে জানাযা শেষে তাকে গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়। ঘটনার পর থেকে ডাঃ বিশ্বজিৎ স্থানীয় মাতব্বদের মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংশার চেষ্টা চালাচ্ছেন। অপরদিকে আনুমানিক চার বছর আগে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় পাশ্ববর্তী কৃষ্ণপুর গ্রামের সারু মিয়া মারা যায় বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন।
নিহত সুমির পিতা সামছু মিস্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘ডাঃ মিজানুর রহমান বলেছেন-পূর্বের ইনজেকশন ও ওষুধের রিয়েকশন হয়ে রোগী মারা গেছে। এখন ডাঃ বিশ্বজিৎ আচার্য্যকে তার কাছে নিয়ে গেলে কথাটি অস্বীকারও করতে পারেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ডাক্তার বিশ্বজিৎ আচার্য্য বলেন, সুমি আক্তার কুমিল্লা টাওয়ারে যাওয়ার আগে আমার কাছে চিকিৎসা নিয়েছিল। কিন্তু অযথা আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে। তবে বৃহস্পতিবার বিকেলে মুন্সিরহাট এলাকায় একটি পোল্ট্রি ফার্মে বসে সুমির পরিবারকে ম্যানেজের চেষ্টার কথা তিনি প্রথমে স্বীকার করলেও পরে অস্বীকার করেন।
স্থানীয়রা আরও অভিযোগ করে বলেন, কাকলী মেডিকেল হলের মালিক আবুল কালাম ধনিজকরা বাজারের তাজু মিয়ার দোকানে ওয়ার্কশপের কাজ করতো। পরবর্তীতে তার মামা ডাঃ এয়াকুবের দোকানে চাকরি করে। সেখান থেকে অসদুপায় অবলম্বন করে পালিয়ে যায়। কিছুদিন পর সে ওই বাজারে কাকলী মেডিকেল হল খুলে ডাঃ বিশ্বজিৎ আচার্য্যকে বসায়। ( ছবি ফাইল ফটো)
Leave a Reply