(বারী উদ্দিন আহমেদ বাবর, কুমিল্লা)
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার মৌকরা ইউপির বিরুলী গ্রামের ধর্ষিতা এক হতদরিদ্র নবম শ্রেণী পড়ুয়া শিক্ষার্থীর পরিবাবারকে মিথ্যা মামলা দিয়ে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ওই ধর্ষিতার পিতাকে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে পুলিশ গ্রেফতার করে।
শুক্রবার আসামীকে কুমিল্লা আদালতে প্রেরন করা হয়।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৬ মার্চ ওই গ্রামের ধর্ষিতার পিতা-মাতা কুমিল্লায় ডাক্তার দেখাতে গেলে এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে লম্পট ও একাধিক মাদক মামলার আসামী ওই গ্রামের আব্দুর সাত্তার কোম্পানির ছেলে ধর্ষক কাজী আবুল কালাম মামুন ওই স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী রাতে রান্না ঘরে তরকারি গরম করতে গেলে তাকে মুখ চেপে ধরে পাশ্ববর্তী জঙ্গলে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে অচেতন অবস্থায় রেখে পালিয়ে যায়।
ধর্ষিতার পিতা-মাতা ওই দিন রাতে কুমিল্ল¬া থেকে বাড়ীতে এসে ওই শিক্ষার্থীকে খোঁজা খুঁজির পর পাশ্ববর্তী জঙ্গল থেকে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ধর্ষিতার পরিবার যাতে মামলা করতে না পেরে ৬ দিন বাড়ীতে অবরুদ্ধ করে রাখে ধর্ষকের পরিবার। পরে রাতের আঁধারে পালিয়ে গিয়ে কুমিল্লা আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষিতা নিজে বাদী হয়ে ধর্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ধর্ষক মামুন উচ্চ আদালত থেকে জামিনে এসে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য ধর্ষিতার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এরপর নিম্ন আদালতে ধর্ষক মামুন হাজিরা দিতে গেলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ধর্ষকের স্ত্রী নুরুন নাহার আক্তার নুপুর বাদী হয়ে কুমিল্লার আদালতে ধর্ষিতার পিতাকে আসামী করে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।
ধর্ষিতার মা জানান, ধর্ষক পরিবারের লোকজন মামলা তুলে নেয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এ ঘটনায় আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিচার চাই।
এ ব্যাপারে ধর্ষকের পিতা কাজী আবদুস সাত্তর কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করলে তিনি পুরো বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আশ্রাফুল ইসলাম জানান, ধর্ষিতার পিতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় তাকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং ধর্ষন মামলার ফাইনাল রিপোর্ট দেওয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে।-ফাইল ফটো।
Leave a Reply