অনলাইন ডেস্ক:
কুমিল্লার বরুড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে আজ মঙ্গলবার। চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন তিনজন। তাঁরা হলেন হেলিকপ্টার প্রতীকের প্রার্থী এ এন এম মইনুল ইসলাম, আনারস প্রতীকের প্রার্থী হামিদ লতিফ ভূঁইয়া ওরফে কামাল ও মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন ওরফে লিংকন।
মইনুল ইসলাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান। তিনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন। তিনি কুমিল্লা-৮ (বরুড়া) আসনের চারবারের সংসদ সদস্য প্রয়াত আবদুল হাকিমের ছেলে। মইনুলের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন বর্তমান ও সাবেক সংসদ সদস্য। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকও তাঁর পক্ষে নেই। তবে বরুড়া পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বকতার হোসেন ও জেলা পরিষদের সদস্য জসিম উদ্দিন তাঁর পক্ষে মাঠে নেমেছেন।
প্রার্থী হামিদ লতিফ ভূঁইয়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের স্ত্রীর ভাই। তিনি আওয়ামী লীগের কোনো পদে নেই। তাঁর পক্ষে স্থানীয় সংসদ সদস্য আবু জাফর মোহাম্মদ শফিউদ্দিন শামীমের সমর্থন আছে। কামালের পক্ষে ইউনিয়ন পরিষদের কয়েকজন চেয়ারম্যান মাঠে তৎপর। বিএনপির নেতা-কর্মীরাও তাঁর পক্ষে।
প্রার্থী নাসির উদ্দিন বরুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর থেকেই নিষ্ক্রিয়। নির্বাচনী মাঠে তিনি নেই।
চেয়ারম্যান প্রার্থী এ এন এম মইনুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ দিয়ে আনারস প্রতীকের প্রার্থী আমার নেতা-কর্মীদের হয়রানি করছেন। আমাকে আটকানোর জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি ও কৌশল নিয়েছেন। সুষ্ঠু ভোট হলে হেলিকপ্টার জিতবে।’
হামিদ লতিফ ভূঁইয়া বলেন, ‘আমি কাউকে হয়রানি করছি না। কারও নাম ব্যবহার করছি না। বরুড়ার মানুষ পরিবর্তন চায়। পরিবর্তনের জন্য আমাকে ভোট দেবেন। মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়ের নাম আমি কোনো ধরনের প্রচারণায় ব্যবহার করছি না।’
নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগ কাউকে সমর্থন দেয়নি বা প্রার্থিতাও ঘোষণা করেনি মন্তব্য করে বরুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও দুইবারের সাবেক সংসদ সদস্য নাছিমুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘যে যাঁকে পছন্দ করেন, তাঁকে ভোট দেবেন। তাঁর পক্ষে নেতা-কর্মীরা কাজ করছেন।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষক আহসানুল কবীর বলেন, এই দুই উপজেলায় মর্যাদার লড়াই হবে। সাবেক দুই ছাত্রলীগ নেতার সঙ্গে সরকারের বর্তমান ও সাবেক দুই মন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের ভোটযুদ্ধ। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সংসদ সদস্য ও স্থানীয় নেতা-কর্মীদের পছন্দ–অপছন্দের ব্যাপারও। এ জন্য ২১ মে সবার চোখ থাকবে এখানে।
Leave a Reply