স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লায় আলোচিত যুবলীগ নেতা জামাল হত্যায় ব্যবহৃত তিনটি অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ছাত্রলীগ নেতা মাজহারুল ইসলাম সৈকতের কাছ থেকে দুটি অত্যাধুনিক বিদেশী পিস্তল ও একটি রিভলবার উদ্ধার করা হয়। সৈকত ১৫নং বরকামতা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। পুলিশ জানায়, এসব অস্ত্র ব্যবহার করে তিনজন বোরকা পড়ে (দেলোয়ার, আরিফ, কালা মনির) যুবলীগ নেতা জামাল হোসেনকে হত্যা করে। এ ঘটনায় কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রাজেস বড়ুয়া বাদী হয়ে চান্দিনা থানায় একটি অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেন। সেখানে পলাতক আসামী দেখানো হয়েছে ৫ জনকে। আসামীদের মধ্যে মোঃ সুজন (৩২), মোঃ আরিফ (২৮), কালা মনির (৪২), শাহ আলী ও দেলোয়ার হোসেন ওরফে দেলু (৩০)। তারা সবাই যুবলীগ নেতা জামালের হত্যা মামলার আসামী।
পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান বলেন, অস্ত্রসহ গ্রেফতার মাজহারুল ইসলাম সৈকতকের জন্য রিমান্ড আবেদন করবো। আশাকরি এ ঘটনার সাথে আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য পাবো।
যুবলীগ নেতা হত্যার ঘটনা ও অস্ত্র সরবরাহে পেছনের শক্তি কারা?
এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান বলেন, ‘গ্রেফতারকৃত আসামীদের জবানবন্দি থেকে আমরা ঘটনার মূল হোতাদের খোঁজে বের করার চেস্টা করছি৷ আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করলে, আশা করি ঘটনার আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসবে।
প্রসঙ্গত, কুমিল্লার দাউদকান্দির গৌরিপুর বাজারে গত ৩০ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে তিতাস উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল হোসেন খুন হন। তিনজন বোরকা পরে এসে তাকে গুলি করে হত্যা করেন।
নিহত জামাল হোসেন তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দি ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে। তিতাস উপজেলায় বাড়ি হলেও তিনি ব্যবসায়িক সূত্রে পাশের দাউদকান্দি উপজেলার গৌরিপুর বাজারের পাশে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
Leave a Reply