(আক্কাস আল মাহমুদ হৃদয়, বুড়িচং)
ধার দেনা করে ৪০ শতক জমিতে লাউ,চাল কুমড়া ও মিষ্টি কুমড়ার গাছ লাগান দরিদ্র কৃষক নজির মিয়া। পরিচর্যার পর গাছের ডগায় ফলন ধরতে শুরু করেছে।
রোববার ( ১০ এপ্রিল) কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ঢাকলাপাড়া এলাকায় রাতে দুর্বৃত্তরা সহস্রাধিক লাউ ও কুমড়া গাছ কেটে দেয়।
সোমবার সকালে জমিতে কাজ করতে এসে এমন চিত্র দেখে হাউমাউ করে কান্না শুরু করেন নজির মিয়া। কোন ভাবে থামানো যাচ্ছে না তার কান্না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কান্নার ভিডিও ছড়িয়ে সমালোচনা শুরু হয়। এসময় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।
কৃষক নজির মিয়া জানান, রোববার দিনে ফসলি জমিতে ঘাস কাটতে আসে একই এলাকার আজিজ মালের ছেলে মনির মিয়া।ঘাস কাটার ফলে গাছের ক্ষতি হওয়াতে বাঁধা প্রদান করে কৃষক নজির মিয়া। তখন মনির মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন,’তুই এই জমিতে কি ভাবে ফসল করিছ তা আমি দেখে নেবো’এই ভাবেই হুমকি প্রদান করেন। পরদিন সকালে এ ঘটনা ঘটে। আমার প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমি কি করবো বুঝতে পারছি না। প্রশাসনের নিকট দাবি করছি, প্রকৃত আসামীকে আইনের আওতায় এনে ক্ষতিপূরন ব্যবস্থা যেন করে দেন।
অভিযুক্ত মনির মিয়ার বাবা আজিজ জানান, আমার ছেলে নজির মিয়ার ফসল কেটেছে কেউ তো দেখেনি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা যাবে কারা করেছে এই কাজ।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ বানিন রায় বলেন,ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক নজির মিয়ার ঘটানাটি খুবেই দুঃখজনক।একজন কৃষককের পক্ষ মেনে নেয়ার মতো না।আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে প্রশাসনের সহযোগিতায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার জন্য সরকারি প্রণোদনা পেলে তাকে সহযোগিতা করা হবে।
বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হালিমা খাতুনরজানান, কৃষকের সবজি ফসল কেটে দিয়েছে তা শোনেছি। লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে কাজটি অত্যন্ত নিন্দনীয়। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, বিষয়টি সাংবাদিকদের মাধ্যমে জেনেছি। তবে এখনো কেউ এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেননি। তবুও এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। লিখিত অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply