জেলা প্রতিনিধি, কুমিল্লা
কুমিল্লার বরুড়ায় আগুনে পুড়ে নববধূ ইয়াসমিন বেগম ( ২২) মৃত্যুর ঘটনাটি দুর্ঘটনা নয়, পরিকল্পিত ভাবে শ্বাসরোধে হত্যা পর আগুনে পুড়িয়ে দুর্ঘটনার নাটক সাজায় স্বামী।
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) সাড়ে ১১ টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কুমিল্লা র্যাব ১১ এর সিপিসি ২ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন।
এ ঘটনায় ২৮ মার্চ রাত ৯ টায় কুমিল্লা ইপিজেড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ঘাতক স্বামী রেজাউল করিম (৩০) আটক করে। সে বরুড়া উপজেলার ডেউয়াতলী এলাকার বাসিন্দা।
মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন জানান, গত ১১ মার্চ ভোরে বরুড়ার ডেউয়াতলী এলাকার আগুনে পুড়ে নিহত হয় ইয়াসমিন। পরবর্তীতে বিষয়টি পরিবারে সন্দেহ হওয়ায় ১২ মার্চ নিহতের ভাই রাকিব অপমৃত্যু মামলা করেন।
বিষয়টি তদন্ত ও আটক স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, পারিবারিক কলেহ ও যৌতুক দিতে না পারায় প্রায় সময় স্ত্রীকে মারধর করতো রেজাউল। গত ১২ মার্চ কথা কাটিকাটির এক পর্যায়ে রেজাউল ক্ষিপ্ত হয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে ইয়াসমিনকে। পরে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য ইয়াসমিনের শরীরে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে মসজিদে চলে যায় রেজাউল।
নামাজ শেষে স্থানীয় লোকজনের আগুন লাগার বিষয়ে কোন আওয়াজ না পাওয়ায় সে পারিবারিক কবরস্থান জিয়ারতের উদ্দেশ্যে চলে যায়। রেজাউল কবরস্থানে থাকা অবস্থায় স্থানীয় লোক জনের মাধ্যমে আগুন লাগার বিষয়ে জানতে পারে এবং তার বাড়িতে আসে। স্থানীয়দের আগুন নিভানোর সময় রেজাউল ও তাদের সাথে আগুন নিভানোর ভান করতে থাকে এবং বলতে থাকে ঘরের ভিতর তার স্ত্রী ও তার বিদেশ যাওয়ার সকল কাগজপত্রসহ টাকা পয়সা রয়েছে। বিষয়টি বলতে বলতে রেজাউল জ্ঞান হারানোর ভান ধরে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয় এবং তার স্ত্রীর জানাজা শেষে হাসপাতাল হতে সে আত্মগোপনে চলে যায়।
মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন জানিয়েছেন, এই বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে কুমিল্লা জেলার বরুড়া থানায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply