নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ১৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মোঃ সোহেলের হত্যাকাণ্ডের খবরটি নিউজ চ্যানেল, পত্রিকায় এবং ফেসবুকে প্রচার করায় ফটো সাংবাদিক সহিদুল ইসলাম সাকিবকে হত্যার হুমকি দিয়েছে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা। কুমিল্লায় সাংবাদিক সাকিবের মোটরসাইকেল অবরুদ্ধ করে হত্যার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা।
সাংবাদিক সহিদুল ইসলাম সাকিব বলেন- ২২ নভেম্বর সোমবার দিবাগত রাতে আমি কাউন্সিলর সোহেল এর মৃত্যুর সংবাদ সংগ্রহ করে সুজানগর থেকে আসার সময় দুইটি মোটরসাইকেল সুজানগর জলিল ও জয়নাল মিয়ার বাড়ির সামনে থেকে আমাকে ফলো করতে করতে রাজগঞ্জ এসেছে। তারা কালো পোশাকধারী, মাথায় হেলমেট পড়া ছিলো। শিল্পী-গায়ক জসিম আমার সাথে থাকার কারনে হয়তো আল্লাহ আমাকে বাচিয়ে দিয়েছে। শিল্পী জসিম তাদের হাবভাব দেখে জনসমাগমে আমায় নিয়ে গেছে। আমি পরে শুনতে পাই সন্ত্রাসীরা রাত ২ টার সময় আমার এলাকায় গিয়েছে, পরে আমি ৯৯৯ এ কল দিলে তারা ৩০/৩৫ মিনিট পর আমাকে কল দিয়ে এসেছে। র্যাব-১১ কে জানানোর সাথে সাথে তারা এসে সন্ত্রাসীদের দাওয়া দিয়েছে এবং সারা রাত একটি টিম আমার বাসার সামনে রেখে গেছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পাই সন্ত্রাসীরা যাওয়ার সময় গালমন্দ করে আরও বলেছে- তুই সাংবাদিক সাকিব্বা কাউন্সিলরের মারা যাওয়ার খবর মিডিয়ায় দিছস, তোরেও নিউজ কইরা দেমু।
সাংবাদিক সাকিব আরও জানান- আমি তো নিউজ করতে গিয়েছি কারো পক্ষে বা বিপক্ষে তো যাইনি, তাহলে কেন আমার উপর হামলা হবে, আমি মারা গেলে কার কি যায় আসে। আমার সন্তান এতিম হবে। বাবা ছাড়া রাস্তায় রাস্তায় ঘুরাঘুরি করে হয় তো বড় হবে, সেদিন কি তার বাবার বিচারের জন্য দাবি জানাবে না। তাহলে কেন এতো বিবাদ বিচ্ছেদ হচ্ছে, আমি তো কারো ক্ষতি করিনি, আমি তো সকল সাংবাদিকদের মত তথ্য নিয়ে গণমাধ্যম কে সহযোগিতা করেছি। আমায় মেরে ফেললে হয়তো কারো কিছু হবে না কিন্তু আমার ছেলেটা এতিম হবে। এতিমের কষ্টটা আমি বুঝি।
চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কাউছার হামিদ জানান- সাংবাদিক সহিদুল ইসলাম সাকিব ৯৯৯ এ কল দেওয়ার পর পুলিশ সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়েছে, সাংবাদিক সাকিব থানায় নিজের নিরাপত্তা চেয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে, অভিযোগের কপি হাতে আসলে যারাই হুমকি দিয়েছে আমরা তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
র্যাব-১১ এর কোম্পানি কমান্ডার সাকিব হোসাইন, কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আনওয়ারুল আজিম, জেলা গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি ইন্সপেক্টর রাজেশ, এসআই মফিজুল ইসলাম, এএসআই মাসুদ, ডিএসবিসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে আশপাশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
Leave a Reply