নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য ও কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম বাহাউদ্দিন বলেন, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে দেখেছি সোহেল হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। আসলে ধরা পড়ে নাই। ইটজ এ ডাইর্ভাসন। মিডিয়াতে যে অস্ত্রগুলো দেখানো হয়েছে, একটি অস্ত্রও সোহেলের হত্যার সঙ্গে জড়িত না। সোহেল বুলেট ইনজুরি ছিল। এক্সরেতে দেখা গেছে এগুলো বুলেট। হত্যাকাণ্ডে ছড়া গুলি ব্যবহার হয়নি।
বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে কুমিল্লায় কাউন্সিলরসহ জোড়া খুনের ঘটনায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ আহতদের খোঁজ খবর নিতে গিয়ে এমপি বাহার সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, এত অসচেতন কেন পুলিশ, তা আমি জানি না। এজন্য এ সমস্ত সমস্যা আরও বৃদ্ধি হয়। তাদের তো ডাক্তার সাহেব থেকেও খবর নেয়ার দরকার ছিল। হত্যাকাণ্ডে কি গুলি ব্যবহার করা হয়েছিল। সঠিকভাবে না জেনেই মিডিয়ার কাছে প্রকাশ করা ঠিক হয়নি বিষয়টি। আমি বলব পুলিশকে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সঠিক অস্ত্র ও আসামিদের গ্রেফতার করতে হবে।
তার আগে কুমিল্লা নগরীর ১৭নং ওয়ার্ড পাথুরিয়া পাড়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং নিহত কাউন্সিলর ও হরিপদ সাহা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন। হত্যার বিচারের আশ্বাস দিয়ে যে কোনো সমস্যায় তাদের পাশে থাকার আশ্বাস প্রদান করে।
এ সময় আ ক ম বাহার উদ্দিন বাহার এলাকাবাসীর উদ্দেশে বলেন, আপনাদের যে ব্যথা, আমারও সেই ব্যথা। কাউন্সিলর সোহেল আমার কাছে সন্তানতুল্য ছিল। আমি তাকে তৈরি করেছিলাম মানুষের কাজ করার জন্য। আমি যেমন কুমিল্লার মানুষের জন্য কাজ করি তেমনি কাউন্সিলর সোহেল এ এলাকার প্রতিটি মানুষের জন্য কাজ করেছে।
তিনি আরও বলেন, হত্যাকারি যেই হোক তাকে ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই। সোহেল মাদকের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন যাবৎ কথা বলেছে। মাদকের সঙ্গে আপোস করে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। সোহেলের কারণে এলাকার মানুষ শান্তিতে ছিল। সোহেলের কারণে তারা মাদক বিক্রি করতে পারে নাই, তাই সোহেলকে হত্যা করেছে। মাদক ব্যবসায়ীরা যদি এত শক্তিশালী হয় তাহলে জনপ্রতিনিধিরা কীভাবে বসবাস করবে। যারা তাকে গুলি করে হত্যা করেছে প্রতিটা মানুষকে চিহ্নিত করে নিয়ে আসা হবে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমের এ হত্যাকাণ্ডের বিচার করা হবে ।
উদ্ধারকৃত অস্ত্র কি হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে কুমিল্লা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, আমরা খুব জোড়ালো সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি যে এটার সঙ্গে তাদের যোগসূত্র রয়েছে এবং ওই গ্রুপেরই ফেলে যাওয়া অস্ত্র বলে ধারণা করছি। অনেক বিষয় আছে এগুলোর সঙ্গে মিলে যায়। তাদের যে পোশাক তার সঙ্গে মিল আছে। এ মামলার সঙ্গে যোগসূত্র পেয়েছি।
তবে ভাইরাল হওয়া সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, সন্ত্রাসীরা বিদেশি পিস্তল ব্যবহার করছে। কিন্তু উদ্ধারকৃত অস্ত্র দেশিয় তৈরি এলজি।
প্রসঙ্গত, সোমবার (২২ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে দুর্বৃত্তদের গুলিতে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য কাউন্সিলর সোহেল ও তার সহযোগী আ.লীগ নেতা হরিপদ সাহা নিহত হন। এ সময় আরও কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার পরদিন নিহত কাউন্সিলরের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় আসামি সুমন ও মাসুমকে আটক করা হয়েছে।
Leave a Reply