নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুমিল্লা সিটির সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর নাদিয়া নাছরিন নিজ কার্যালয়ে ১০০ জনের শরীরে মডার্নার টিকা পুশ করার ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। কাউন্সিলর নাদিয়া দায় স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করলেও ছাড় দিতে নারাজ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। তদন্ত রিপোর্টের পর প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
শুক্রবার (১৩) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. মীর মোবারক হোসাইন। তিনি বলেন ২৪ ঘন্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
তদন্ত কমিটিতে কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সমন্বয়ক ডাঃ হাসান মাহমুদ ইকবালকে প্রধান করা হয়। বাকি দুই সদস্য হলেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেডিকেল অফিসার চন্দনা দেবনাথ ও ইপিআই সুপারিনটেনড্যান্ট আবু তাহের মজুমদার।
অভিযুক্ত কুসিকের ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিল নাদিয়া নাছরিন জানান, আমি এই ঘটনার দায় স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি যেহেতু আগে স্বাস্থ্যকর্মী ছিলাম তাই জনগণের স্বার্থে এই কাজ করেছি। আর যারা রেজিস্টেশন তাদের টিকা পুশ করেছি। এমন না যে টিকা গুলো আমার পরিবারের সদস্যের দিয়েছি। এ ঘটনাটি আমার জীবনের বড় একটি ভুল। আমি বুঝতে পারিনি বিষয়টি এত দূর যাবে।
উল্লেখ্য গত ৯ আগস্ট নগরীর গাংচর এলাকায় হারুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে করোনা টিকাকেন্দ্রে গণটিকা দেওয়া নিয়ে ঝামেলা হয়। অবশিষ্ট টিকা সরকারি নির্দেশনা অমান্য করো তার কার্যালয়ে নিয়ে আসেন।
এই সময় কাউন্সিলরের নিজ কার্যলয়ে ১০০ মানুষের শরীরে টিকা পুশ করেন। এ ঘটনায় একটি ছবি ভাইরাল হলে কুমিল্লা জুড়ে আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়। বিষয়টি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নজরে আসে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ তদন্ত কমিটি গঠন করে।
Leave a Reply