(সিটি প্রতিনিধি, কুমিল্লা)
কুমিল্লায় ভুয়া ডিগ্রি ব্যবহার করায় ডা: সজীব নূরকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। তিনি এফ.সি.পি.এস ( মেডিসিন) এই পদবীর কাগজ পত্র দেখাতে পারেনি । ভুয়া ডিগ্রিধারী আরেক ডাক্তার কাজী উম্মে কুলসুম ম্যাজিস্ট্রেট দেখে পালিয়ে যায় ।
এসময় কুমিল্লা পুলিশ লাইনের বসুন্ধরা ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসাল্টেশন সেন্টারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় দালাল ব্যবহার করে জোর করে রোগী নিয়ে আসাসহ বিভিন্ন অভিযোগ প্রমাণিত হয়।
এছাড়া ভুল অপারেশনে বুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থীর মৃত্যু অভিযোগ উঠা কুমিল্লার সেই গোমতী হাসপাতালেও অভিযান পরিচালনা করা হয় । অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ রাখার অপরাধে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমান আদালত।
মঙ্গলবার ( ২৯) জুন বিকাল ৪ টা থেকে তিন ঘন্টাব্যাপী কুমিল্লা নগরীর পুলিশ লাইন ও নজরুল এভিনিউ রোডে এসব প্রতিষ্ঠানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. সৌমেন রায়, ডা. ইকবাল হাসান মাহমুদ ও ডা. সৈয়দ মইনুল হক।
ডা. সৌমেন রায় বলেন, সজীব নূর এবং উম্মে কুলসুম নামে দুই চিকিৎসককে পাওয়া যায় যারা বিএমডিসি’র স্বীকৃত ছাড়া শিক্ষাগত যোগ্যতা নামে পাশে ব্যবহার করে আসছিলো। বসুন্ধরা ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসাল্টেশন সেন্টারের প্যাথলজিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ক্যামিকেল এবং মেডিকেল অফিসারের স্বাক্ষর ছাড়া বিভিন্ন রিপোর্ট পাওয়া যায়। যে কারণে প্রতিষ্ঠানকেও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার পাশাপাশি সিলগালা করে দেয়া হয়।পরবর্তীতে নগরীর নজরুল এভিনিউ এলাকায় গোমতী হাসপাতালেও অভিযান পরিচালনা করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ডা. সজীব নূর ভুয়া পদবি ব্যবহার করায় তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করে আদায় করা হয়। এছাড়া কুমিল্লা বসুন্ধরা ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসাল্টেশন সেন্টারকে ৫০ হাজার ও গোমতী হাসপাতালকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
Leave a Reply