অনলাইন ডেস্ক:
করোনাভাইরাসের লাগাম টানতে ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউনে যাচ্ছে বাংলাদেশ। লকডাউনের এ সময়ে শিল্প কারখানা চালু থাকবে বলে জানিয়েছেন বিকেএমইএর সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।
রোববার (১১ এপ্রিল) বিকালে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ দাবি করেন তিনি।
মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ১৪ এপ্রিল থেকে সম্পূর্ণ লকডাউন হলেও শিল্প কারখানা চলবে। মন্ত্রী পরিষদ সচিব আমাদের নিশ্চিত করেছেন। লকডাউনে শিল্প কারখানা ছাড়া সব বন্ধ থাকবে। মানুষের চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এ ছাড়া ব্যাংক বন্ধ থাকতে পারে। তাতে আমদানি রপ্তানিতে সমস্যা হবে। এ বিষয়েও পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী পরিষদ সচিব।
বৈঠকে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালাম ও নবনির্বাচিত সভাপতি ফারুক হাসান, নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বিটিএমএর সভাপতি মোহাম্মদ আলী অংশ নেন।
এর আগে দুপুরে লকডাউনে পোশাক ও বস্ত্র কারখানা খোলা রাখার দাবি জানায় পোশাক খাতের চার সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমইএ ও ইএবি।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় সরকার সারা দেশে এক সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে গত ৪ এপ্রিল। গত সোমবার সকাল ৬টা থেকে ‘লকডাউন’ শুরু হয়। এক সপ্তাহের ঢিলেঢালা ‘লকডাউন’ শেষ হচ্ছে আজ।
তবে শুরু থেকেই লকডাউন প্রত্যাহারের দাবিতে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভ করেন ব্যবসায়ীরা।‘লকডাউনে’ গণপরিবহন ও শপিংমল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হলেও গত বুধবার শর্তসাপেক্ষে সরকার গণপরিবহনে চলাচলের অনুমোদন দেয় সরকার। আর শুক্রবার থেকে শপিংমল ও দোকানপাটও খোলা হয়।আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য সারা দেশে সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।রোববার সকালে রাজধানীর সংসদ ভবনের বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।
Leave a Reply