চান্দিনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
কুমিল্লার চান্দিনায় মাত্র এক দিনের ব্যবধানে দুটি ধর্ষ’ণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে মাদরাসা শিক্ষকের কাছ থেকে ঝাড়-ফুক নিতে গিয়ে কলেজছাত্রী এবং একই বাড়ির যুবকের কাছে বাক প্রতিবন্ধী ধ’র্ষণের শিকার হয়।
ওই দুটি ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে চান্দিনা থানায় কলেজছাত্রী নিজে এবং বাক প্রতিবন্ধী তরুণীর পিতা বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছেন। কলেজছাত্রী ধর্ষ’ণের ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত মো. শাহপরান (২৭) নামে এক মাদরাসাশিক্ষককে আটক করেছে। আটক মো. শাহপরান চান্দিনা উপজেলার এতবারপুর গ্রামের মো. সুন্দর আলীর ছেলে।
ভূক্তভোগী কলেজছাত্রী জানান, দীর্ঘদিন পেটের পীড়ায় ভোগার কারণে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি হারং উত্তরপাড়া আল কারিম মাদরাসার শিক্ষকের কাছে ঝাড়-ফুক করার জন্য যান। ওই শিক্ষক প্রথম দিন পানিতে ফু দিয়ে আরো কয়েকদিন আসার জন্য বলেন। তার কথামত বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে মাদরাসায় আসার পর মাদরাসা শিক্ষক জানান, তাকে জিনে ধরেছে।
কলেজছাত্রী বলেন, আমার ওপর জিনের চালান দেওয়ার কথা বলে তার অফিস কক্ষে নিয়ে দরজা আটকিয়ে ধর্ষ’ণ করেন। এ সময় আমি চিৎকার দিলেও আশে-পাশে কোনো বাড়ি-ঘর না থাকায় কেউ এগিয়ে আসেনি। পরবর্তীতে আমি আমার পরিবারকে বিষয়টি জানিয়ে বৃহস্পতিবার থানায় মামলা দায়ের করি।
অপরদিকে, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় চান্দিনা উপজেলার মহিচাইল ইউনিয়ের গাবগাছিয়া গ্রামে ১৮ বছর বয়সী এক বাক প্রতিবন্ধী প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হওয়ার পর পার্শ্ববর্তী বাড়ির লিমন মিয়াজী (২০) নামের এক যুবক তাকে ধর্ষ’ণ করেন।
চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাসমউদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, পৃথক দুটি ধর্ষ’ণের ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পাওয়া যায়। কলেজছাত্রী ধর্ষ’ণের ঘটনায় মাদরাসার হুজুরকে আটক করা হয়েছে। প্রতিবন্ধী ধ’র্ষণের ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিকে আটক করার চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply