( জাগো কুমিল্লা.কম)
দীর্ঘদিন ধরে অগ্রগতি নেই, কোনও শিক্ষার্থী নেই, এমনকি দু’একজন শিক্ষার্থী থাকলেও পাবলিক পরীক্ষায় পাস করতে পারে না তাই কুমিল্লার চান্দিনার দুইটি ও চৌদ্দগ্রামে একটি মাদ্রাসার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অন্তর্গত বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড। এ বছর থেকে এসব মাদ্রাসায় আর শিক্ষা কার্যক্রম না চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসব মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের আশেপাশের স্বীকৃত মাদ্রাসাগুলোতে রেজিস্ট্রেশন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
গত সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই তিনটি মাদ্রাসা বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। পরে বুধবার মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
চৌদ্দগ্রামের শ্রীপুর ইউনিয়নের পদুয়া আদর্শ মহিলা দাখিল মাদ্রাসা, যা আরো ৫ বছর আগে কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়, চান্দিনার মাইজখার ইউনিয়নের করতলা দারুত তাওহিদ দাখিল মাদ্রাসা ও কেরণখাল ইউনিয়নের থানগাঁও ইসলামিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসা।
চান্দিনার মোহনপুর ইসলামিয় দাখিল মাদ্রাসার প্রধান আফাজ উদ্দিন মো: আফাজ উদ্দিন মিয়াজী জাগো কুমিল্লা ডট কমকে জানান, সম্প্রতি কুমিল্লা আমাদের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের সময় আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছে।এটি বোর্ডের একটি যুগপোযোগী সিদ্ধান্ত। এ সময় মাদ্রাসায় কেউ পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে পরেনি। ইতিমধ্যে কার্যক্রম বন্ধ।
জানতে চাইলে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর এ কে এম সাইফুল্লাহ এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘এসব মাদ্রাসায় দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ ছিল। তাদের কার্যক্রম সন্তোষজনক নয়। সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়েও ভয়াবহ চিত্র দেখা গেছে। পরে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলে তাতেও সন্তোষজনক তথ্য পাওয়া যায়নি। এসব কারণে মাদ্রাসাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’
মাদ্রাসা বন্ধের নোটিশে বলা হয়েছে, ২০১৭ ও ২০১৮ সালের দাখিল পরীক্ষায় কোনও শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেনি। এর কারণ জানতে চেয়ে মাদ্রাসা প্রধানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। অনেকেই এর জবাব দেননি। যারা জবাব দিয়েছে তাতে বোর্ড সন্তুষ্ট হতে পারেনি। এ কারণে এসব মাদ্রাসার অনুমতি ও একাডেমিক স্বীকৃতি বাতিলসহ অনলাইনে পাসওয়ার্ড, মাদ্রাসার কোড নম্বর ও ইআইআইএন নম্বর বন্ধ করে দেওয়া হলো।
Leave a Reply