অনলাইন ডেস্ক:
গবেষকরা বলছেন, বাংলাদেশ প্রায় ৭০ লাখ মাদকাসক্ত রয়েছে, যাদের বয়স ১০ থেকে ৭০ বছরের মধ্যেবাংলাদেশের গবেষকরা বলছেন, দেশে এখন প্রায় ৭০ লাখ মাদকসেবী রয়েছে, যাদের বেশিরভাগ তরুণ। এদের মধ্যে ১০ বছর থেকে ৭০ বছরের বৃদ্ধও রয়েছেন।
এমন প্রেক্ষাপটে দেশজুড়ে মাদকবিরোধী অভিযান শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গত কয়েক সপ্তাহের অভিযানে এ পর্যন্ত অন্তত ৩০জন নিহত হয়েছে আর আটক হয়েছে কয়েকশো ব্যক্তি।কিন্তু পরিবারের কোন সদস্য মাদকাসক্ত হয়ে উঠলে অন্যরা সেটি কীভাবে বুঝবেন? বাংলাদেশে এ ধরণের সমস্যায় চিকিৎসার কী ব্যবস্থা রয়েছে?
কী কী লক্ষণ দেখলে সতর্ক হওয়া উচিত?
বাংলাদেশের একটি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র ‘মুক্তি’র প্রধান আলি আসকার কোরেশী বলছেন, ”কেউ মাদকাসক্ত হয়ে উঠলে একদম শুরুর দিকে বুঝা আসলে একটু শক্ত। তারপরেও বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে, যা দেখা গেলে সন্তানের বিষয়ে সতর্ক হতে হবে।””যদি দেখা যায় যে, সন্তানের আচার আচরণে কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়, যে শান্তশিষ্ট ছেলেটা হঠাৎ করে অপরিচিতের মতো আচরণ করছে। ঘুমের প্যাটার্ন পাল্টে যাচ্ছে। আগে যে সকালে স্কুলে যেতো, এখন সে নানা অজুহাতে স্কুলে যেতে চাইছে না। বিভিন্ন অজুহাতে টাকা চাইছে যে, আজকে এটা কিনতে হবে, কাল অন্য কাজে টাকা লাগবে। তখন সতর্ক হতে হবে।”
আরো কিছু লক্ষণের মধ্যে রয়েছে মন-মেজাজের হঠাৎ পরিবর্তন, ঘুম থেকে উঠে মেজাজ খারাপ করা, খাওয়া-দাওয়ার দিকে নজর না থাকা বা অতিরিক্ত ঘুমানো, রাতে জেগে দিনে ঘুমানো, এ ধরণের প্রবণতা দেখা গেলে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। পরিবারের কোন সদস্য ঘন ঘন অতিরিক্ত টাকা দাবি করলে, প্রাইভেট বা স্কুলের খরচের নাম করে বারবার টাকা চাইলেও সতর্ক হতে হবে।
তিনি পরামর্শ দিচ্ছেন, এসব ক্ষেত্রে সন্তান কোথায় যায়, কাদের সঙ্গে মিশছে, আসলেই স্কুলে বা প্রাইভেটে যাচ্ছে কিনা, এসব অভিভাবকদের নজরদারি করতে হবে। স্কুলের বেতন থেকে শুরু করে প্রাইভেট টিউটরের বেতনও অভিভাবকদের নিজেদের দেয়া উচিত, কারণ অনেক সময় প্রাইভেট বা স্কুলের নাম করে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে তারা নেশা করে।
মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের মিথ্যা বলা বেড়ে যাওয়া, দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়া বা অনেক সময় চুরির অভ্যাস তৈরি হওয়ার প্রবণতাও দেখা যায়। বন্ধুদের মধ্যে যদি মাদকাসক্ত কেউ থাকে, তাহলেও তার মাদকাসক্তিতে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।
Leave a Reply