অনলাইন ডেস্ক:
কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কুমিল্লায় হত্যা ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে নাশকতার মামলায় ৬ মাসের জামিন দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া নড়াইলে মানহানি মামলায় জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৮ মে) বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
গত ২০ মে কুমিল্লা ও নড়াইলের পৃথক ৩ মামলায় হাইকোর্টের অনুমতির পর খালেদা জিয়ার পক্ষে জামিন আবেদন দাখিল করা হয়। এরপর গত ২১ মে আদালতে খালেদা জিয়ার দুই মামলায় জামিন শুনানির দিন ধার্য থাকলেও প্রস্তুতি না থাকার বিষয়টি আদালতকে অবহিত করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এরপর আদালত তার আবেদন মঞ্জুর করে এ বিষয়ে ২২ মে শুনানির দিন ধার্য করেন। এদিন আংশিক শুনানি হওয়ার পর মামলাটির বিষয়ে ২৩ ও ২৪ মে আবারও শুনানি হয়। সেই শুনানি রবিবার পর্যন্ত মুলতবি রাখা হয়। সেই শুনানি শেষে আদালত আদেশের জন্য সোমবার দিন ধার্য করা হয়।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, এজে মোহাম্মদ আলী ও মাহবুব উদ্দিন খোকন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা ও ব্যারিস্টার এহসানুর রহমান।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তার সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ ও মো. বশির উল্লাহ।
রোববার শুনানিতে খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব আপিল বিভাগের একটি রায়ের (৬৮ ডিএলআর) নজির তুলে ধরেন। তিনি বলেন, জামিনযোগ্য ধারার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় কোনো আসামি জামিন না চাইলেও আদালত জামিন দিতে পারেন।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এ মামলায় যে অভিযোগ আনা হয়েছে, সেটি জামিনযোগ্য অপরাধ। অতএব খালেদা জিয়া জামিন পেতে পারেন। খন্দকার মাহবুব আরও বলেন, নড়াইলের মানহানি মামলায় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন আবেদন করা হয়েছে। আবেদনের শুনানি হয়েছে কিন্তু আদালত আদেশ দেননি। নথিভুক্ত করে রেখেছেন। এখানে বিচারিক আদালত ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।
শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, আদালত থেকে যত আদেশ-নির্দেশ দেয়া হয়েছে, সেগুলো খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের সঙ্গে যুক্ত করা উচিত ছিল।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। ওই মামলায় আপিলের পর খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। ১৭ মে এ আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। বর্তমানে তিনি পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় করাগারে রয়েছেন।
Leave a Reply