(জাগো কুমিল্লা.কম)
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃংখলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে ধর্ষণ বিশেষ করে শিশু ধর্ষণ একটি আলোচিত বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। উক্ত অপরাধ দমনের লক্ষ্যে র্যাব অত্যন্ত তৎপরতার সাথে এর সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতারে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
গত ২৮ এপ্রিল ২০১৮ ইং তারিখে কুমিল্লা জেলার হোমনা থানার মিরাশ গ্রামস্থ মোঃ আলম মিয়ার ছেলে মোঃ আসিফ (১৯) তার পার্শ্ববর্তী বাড়ির বাসিন্দা ফিরোজ মিয়ার প্রতিবন্ধি শিশু (১৩) কে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। ধর্ষনের পর হতে মোঃ আসিফ (১৯) পলাতক ছিল। গত ১৯ মে ২০১৮ ইং তারিখ র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লা এর একটি আভিযানিক দল চাঞ্চল্যকর প্রতিবন্ধি শিশু ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত পলাতক আসামী মোঃ আসিফ এর গতিবিধি সার্বক্ষণিক নজরদারীর প্রেক্ষিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষক আসিফকে কুমিল্লা জেলার বরুড়া থানাধীন চান্দিনা রোড, রামমোহন বাজার এলাকা হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোঃ আসিফ জানায় যে, গত ২৮ এপ্রিল ২০১৮ ইং তারিখ তার বাবা-মা তার নানার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়াতে সে বাড়িতে একাকি অবস্থানকালে বিকাল আনুমানিক ১৫:৩০ ঘটিকার সময় তার পার্শ্ববর্তী বাড়ির বাসিন্দা ফিরোজ মিয়ার প্রতিবন্ধি শিশু তার বসত ঘরের সামনে আসলে মোঃ আসিফ প্রতিবন্ধি শিশুকে জোরপূর্বক তার ঘরে নিয়ে ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে দেয়।
এ সময় উক্ত শিশু চিৎকার করার চেষ্টা করলে আসিফ তার মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে প্রতিবন্ধি শিশুর মা ঘটনা জানার পর হোমনা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরের পর হতে মোঃ আসিফ প্রথমে বি-বাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর থানায় তার নানার বাড়িতে ও পরবর্তীতে ঢাকার বনানীতে তার খালু মোঃ কবির মিয়ার বাসায় অবস্থান করে। সর্বশেষ সে তার দাদির বাড়িতে অবস্থান করছিল।
পরবর্তীতে গত ১৯ মে ২০১৮ ইং তারিখ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লা এর একটি আভিযানিক দল বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আসিফকে কুমিল্লা জেলার বরুড়া থানাধীন চান্দিনা রোড, রামমোহন বাজার হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
Leave a Reply