1. jagocomilla24@gmail.com : jago comilla :
  2. weekybibarton@gmail.com : Amit Mazumder : Amit Mazumder
  3. sufian3500@gmaill.com : sufian Rasel : sufian Rasel
  4. sujhon2011@gmail.com : sujhon :
বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:২৯ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজঃ
আন্তর্জাতিক মানের ইনডোর প্লে-গ্রাউন্ড “বাবুল্যান্ড” এখন কুমিল্লায় বিভাগ হলে কুমিল্লা নামেই হবে : উপদেষ্টা আসিফ আজ সাংবাদিক নেকবর হোসেন এর পিতার ১১ তম  মৃত্যুবার্ষিকী  কান্দিরপাড় রূপায়ন দেলোয়ার টাওয়ারের লোটোর ৫ম আউটলেট উদ্বোধন; ৩ দিন চলবে ২০%  ডিসকাউন্ট  কুমিল্লায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা; নিহত বেড়ে ৭ কুমিল্লায় ট্রেনের ধাক্কায় ৫ অটো রিকশা যাত্রী নিহত; আহত ৩ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা মহানগরের কমিটি ঘোষণা কেন্দ্র ঘোষিত কমিটিকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে কুমিল্লায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের পাল্টা কমিটি গঠন কুমিল্লা নগরীতে শ্যালিকার বসতজমি দখলের অভিযোগ! সিসিএন বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিনারে রিসোর্স পার্সন পিএসসির সচিব ড. সানোয়ার জাহান ভূইয়া

বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে ১২২ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান !

  • প্রকাশ কালঃ শনিবার, ১৯ মে, ২০১৮
  • ৩৭০

অনলাইন ডেস্ক:
মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় শতভাগ ফেল করা ১২২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত আসছে। এসব প্রতিষ্ঠানের যৌক্তিকতা যাচাই-বাছাই করে সরকারি অনুদান (এমপিও) ও অনুমোদন-স্বীকৃতি বাতিল করা হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।

গত ৬ মে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। সারাদেশে তিন হাজার ৪১৫টি কেন্দ্রে ২৮ হাজার ৫৫৮টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, এবারের পরীক্ষায় মোট ১২২টি প্রতিষ্ঠানের একজনও পাস করেনি। এর মধ্যে সাধারণ আট বোর্ডের অধীন ১৬টি এবং মাদরাসা বোর্ডের অধীন ৯৬টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

ফলাফল প্রকাশের পর শিক্ষামন্ত্রী সব বোর্ডের চেয়ারম্যানকে নিয়ে বৈঠকে বসেন। সেখানে শূন্য পাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন মন্ত্রী।

শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, শতভাগ ফেল করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরি করেছে স্ব স্ব বোর্ড। গত ১৩ মে মাদরাসা বোর্ডের আওতাভুক্ত শতভাগ ফেল করা স্কুল কর্তৃপক্ষকে শোকজ করা হয়েছে। আগামী ২৩ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের কাছে জবাব চাওয়া হয়েছে। সাধারণ বোর্ডের অধিভুক্ত স্কুলগুলোর বিরুদ্ধেও দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।

শতভাগ ফেল করা মাদরাসার মধ্যে ১৯টি এমপিওভুক্ত। সেগুলো হচ্ছে- গাজীপুর কাপাসিয়ায় বিলাসী মদিনাতুল উলুম বালিকা আলিম মাদরাসা, কিশোরগঞ্জ পাকুন্দিয়ায় খামা বালিকা দাখিল মাদরাসা, টাঙ্গাইলের ঘটাইল বখশিয়া দাখিল মাদরাসা, নববাগঞ্জ উপজেলা সদরের সাজাহানপুর ইসলামিয়া বালিকা দাখিল মাদরাসা, নওগাঁ পত্মীতালয় বড় বিদিরপুর দাখিল মাদরাসা, ছোট মাহারানদি টেকনিক্যাল দাখিল মাদরাসা, বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বেড়েবাবাড়ির সিনিয়র আলীম মাদরাস, শিবগঞ্জের মেদিনিপাড়া মোজাদ্দিদিয়া দাখিল মাদরাসা, দিনাজপুর পার্বতীপুরের ঝিনাইকুরি ওসমানিয়া দাখিল মাদরাসা, যশোর কেশবপুরের প্রতাপপুর দাখিল মাদরাসা, সাতবাড়িয়া দাখিল মাদরাসা, ইমান নগর এম বি জি দাখিল মাদরাসা, বরিশাল উড়িরপুরে মুন্সির তালুক বালিকা আলিম মাদরাসা, পিরোজপুরের নেসারবাদ মুজাদ্দেদিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা, পুটয়াখালী সদরে লোহালিয়া কে এম হক বালিকা দাখিল মাদরাসা, পুটয়াখালী সদরে লোহালিয়া কে এম হক বালিকা দাখিল মাদরাসা, পটুয়াখালী সদরে লোহালিয়া কে এম হক বালিকা দাখিল মাদরাসা, টাঙ্গাইলের চাতিলা সেফালিয়া বালিকা দাখিল মাদরাসা এবং মাগুরা মোহাম্মদপুরের রিজিয়া বুবিয়া মহিলা দাখিল মাদরাসা।

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কিংবা বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে অধিকাংশ মাদরাসার অনুমোদন, স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তি করা হয়েছে। সৃষ্ট পদ অনুযায়ী প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ন্যূনতম ১৬ জন এমপিওভুক্ত শিক্ষক রয়েছেন। এর বাইরেও অতিরিক্ত শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছে পরিচালনা পর্যদের সদস্যরা।

একাধিক শিক্ষা বোর্ড কর্মকর্তাদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন বাবদ সরকারি ফান্ড থেকে মাসে প্রায় আড়াই লাখ টাকা প্রদান করা হচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানে মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা না থাকায় শিক্ষার্থীরা ভর্তি হচ্ছে না। অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দু-একজন শিক্ষার্থী পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে। তাদের মধ্যে কেউ পাস না করায় শতভাগ ফেলের সমীকরণে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর চাইতে শিক্ষকদের সংখ্যাই বেশি।

এ বিষয়ে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সাইফউল্লাহ জাগো নিউজকে বলেন, শতভাগ ফেল করা ৯৬ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতোমধ্যে তাদের শোকজ করা হয়েছে। শোকজের জবাব পাওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শতভাগ শূন্য পাস প্রতিষ্ঠান থাকার কোনো যৌক্তিকতা নেই। ফেল করা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হচ্ছে না। এ কারণে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে মাত্র একজন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। আমরা বিষয়গুলো যাচাই-বাছাই করছি। তাদের আর পুষে রাখা হবে না।’

‘ওইসব প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন ও স্বীকৃতি বাতিল এবং এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের সব সুবিধা বাতিলের জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হবে’ বলেও জানান মাদরাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান।

অন্যদিকে, সাধারণ আট বোর্ডের ১৬টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শতভাগ ফেল করেছে। সেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে একাধিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে শোকজ করা হয়েছে। শোকজের জবাব সন্তোষজনক না হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শতভাগ অকৃতকার্য প্রতিষ্ঠানের তালিকায় ঢাকা বোর্ডের অধীনে তিনটি স্কুল রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে- গাজীপুর কাপাশিয়ার কিরাটি পূর্ব পাড়া ড. এ রহমান গার্লস হাই স্কুল, ফরিদপুর মধুখালির গয়েশপুর বকশিপুর হাই স্কুল এবং জামালপুর সরিষাবাড়ির গুইঞ্চা আওনা এস ই এস ডি পি হাই স্কুল। ওই তিন স্কুলের ৩০ শিক্ষার্থী এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক এ প্রসঙ্গে জাগো নিউজকে বলেন, ‘শতভাগ ফেল করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রাখার যৌক্তিকতা কতটুকু, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমরা দ্রুত শূন্য পাসের কারণ জানতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে নোটিশ করব। উপযুক্ত জবাব না পেলে অনুমোদন বাতিলেরও সিদ্ধান্ত আসতে পারে।’

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুনঃ

© All rights reserved © 2024 Jago Comilla
Theme Customized By BreakingNews