নিজস্ব প্রতিবেদক:
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের অষ্টম আসরে প্রথম দল হিসেবে আগেই বিদায় ঘণ্টা নিশ্চিত হয়েছে সিলেট সানরাইজার্সের। শেষ ৬ ম্যাচ জয়ের মুখ না দেখা দলটি ঘরের মাঠে ফিরেও হারে টানা দুই ম্যাচ। আজ (বুধবার) সেই সিলেটকে হারিয়েই ফরচুন বরিশালের পর প্লে-অফের টিকিট পেল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এদিন আগে ব্যাট করে স্কোরবোর্ডে ১৬৯ রান তুলে সিলেট। ১৭০ রানের লক্ষ্য টপকাতে নেমে ৪ উইকেট এবং ১ বল হাতে রেখে জয় পায় কুমিল্লা।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নামে স্বাগতিকরা ভালো শুরু পায়। দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও কলিন ইনগ্রাম উদ্বোধনী জুটিতে যোগ করেন ১০৫ রান। আগের ম্যাচে অর্ধশতক হাঁকানো ইনগ্রাম এদিন ফিফটির দেখা পান মাত্র ৩৫ বলে। ব্যাট চালিয়ে খেলে একই পথে ছুটছিলেন বিজয়, তবে ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়নি তার। মুস্তাফিজের বলে আউট হন ব্যক্তিগত ৪৬ রানে। ৩৩ বলের ইনিংসটি ৪টি চার ও ৩টি ছয়ের মারে সাজান বিজয়।
এবারের টুর্নামেন্টের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান লেন্ডন সিমন্স তিনে ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি। তানভীর ইসলামের বলে আউট হন ১৩ বলে ১৬ রানে। হাসেনি অধিনায়ক রবি বোপারার ব্যাট। নারিনের বলে বোল্ড হন ১ রান করে। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে রান তোলার গতি ধরে রাখেন ইনগ্রাম। আগের ম্যাচে ১০ রানের জন্য শতক হাতছাড়া করেছিলেন। এই ম্যাচেও শতকের দেখা পাননি ১১ রানের জন্য। শেষ ওভারে মুস্তাফিজের শিকার হওয়ার আগে ৬৩ বলে ৮৯ রান করেন, হাঁকান ৯টি চার ও ৩টি ছক্কা।
সঙ্গে আলাউদ্দিন বাবু যোগ করেন ১০ রান। এতে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে সিলেটের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৬৯ রান। দলটি পাঁচ উইকেট হারালেও ব্যাট হাতে নামেননি মোহাম্মদ মিঠুন। কুমিল্লার পক্ষে ২৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন মুস্তাফিজ।
১৭০ রানের লক্ষ্য টপকাতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি কুমিল্লার। দলীয় ২২ রানে বিদায় নেন ওপেনার লিটন দাস এবং ফাফ ডু প্লেসি। একেএস স্বাধীনের বলে ক্যাচ দিয়ে ৭ রানে ফেরেন লিটন। নাজমুল ইসলাম অপুর শিকার হন ২ রান করা ফাফ। তৃতীয় উইকেটে দলের হাল ধরেন মাহমুদুল হাসান জয় এবং মঈন আলী। ব্যাট চালিয়ে খেলে ৬৬ বলে দুজন যোগ করেন ৮২ রান। মঈন ৪টি চার ও ২টি ছয়ের মারে ৩৫ বলে ৪৬ রান করে বোপারের বলে আউট হলে ভাঙে তাদের এই জুটি।
মঈনের আউটের পর অর্ধশতকের স্বাদ পান জয়। ৪২ বলে ছুঁয়েছেন ব্যক্তিগত ফিফটি। শেষ ৫ ওভারে কুমিল্লার জয়ের জন্য প্রয়োজন পড়ে ৬০ রান। অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ৮ বলে ১৬ রান করে আউট হলে চেষ্টা চালান জয়। তবে আলাউদ্দিন বাবুর বলে ৭ চার ও ২ ছয়ে ৫০ বলে ৬৫ রান করে জয় আউট হলে বিপদে পড়ে কুমিল্লার। জয়ের পর রানের খাতা খুলতে না দিয়ে আরিফুল হককে ফেরান বাবু। তবে সেই বিপদ থেকে দলকে উদ্ধার করেন সুনিল নারিন।
নারিনের ৩টি চার ও ১টি ছয়ের মারে ১১ বলে অপরাজিত ২৪ রানের সঙ্গে আবু হায়দার রনির ৪ বলে ৬ রানের ইনিংসের কল্যাণে ৪ উইকেটের জয় পায় কুমিল্লা। ফলে ৮ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে প্লে-অফে কুমিল্লা। অন্যদিকে ৯ ম্যাচে মোটে ৩ পয়েন্ট সিলেটের। পয়েন্ট টেবিলের একদম তলানিতে অবস্থান দলটির। এই ম্যাচের মধ্য দিয়েই বিপিএলে শেষ হলো সিলেট পর্বের খেলা।
Leave a Reply