নিজস্ব প্রতিবেদক।।
হামলা, চাঁদাবাজি, প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও মানবাধিকার কর্মী মওদুদ আবদুল্লাহ শুভ্র।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দুর্বৃত্তরা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে দিয়েছে অনেকবার। এ বিষয়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার এবং র্যাব ১১ কোম্পানি কমান্ডারসহ গোয়েন্দা সংস্থার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আমার দায়ের করা মামলায় দীর্ঘ সাত মাসে পুলিশ এজহারনামীয় মাত্র একজন আসামীকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছে। বাকি আসামীরা এখনও ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। এতে প্রাণনাশের শঙ্কা নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
মওদুদ শুভ্র জানান, আমার স্ত্রী কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত। তাকে সন্ত্রাসীরা কলেজে যাওয়ার সময় এসিড মারার হুমকি দেয়। আমার স্ত্রীর কলেজে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে এজন্য তার পড়ালেখা বন্ধ হয়ে গেছে।
আমি কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় দুর্বত্তদের নাম উল্লেখ করে জিডি করি যার নাম্বার:- ১১৩৮-১৫/১/২০২৫ইং।
আমার জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ২০১৭ সাল থেকে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে আসছি। ১৪ নভেম্বর কোতোয়ালি মডেল থানায় আমি ৮ জনের নামসহ অজ্ঞাত ৪ থেকে ৫ জনের নামে মামলা দায়ের করি। গত বছরের ১৯ আগস্ট দ্রুত বিচার আইনে অজ্ঞাতনামা ৩ জন পুরুষ ও একজন মহিলাকে আসামি করে মামলা দায়ের করা করি। যা কুমিল্লা জেলা পিবিআইয়ের তদন্তনাধীন রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, কোতয়ালি মডেল থানার প্রথম জিডি করেন ২০১৭ সালের ৩ মে যার নম্বর ১৫৭। আসামীরা তারপরও আটক না হওয়ার তিনি পুনরায় ২০১৮ সালের ২৮ জুন দ্বিতীয়বারের মত জিডি করেন যার নম্বর ১৫৩৮। মওদুদ শুভ্র একের পর এক হামলা নির্যাতনের কারণে তিনি ২০২৩ সালের ১৪ জানুয়ারি কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন যার এসডিআর নাম্বার ১৯২।
সন্ত্রাসীরা আরো ক্ষিপ্ত হওয়ার কারণে মওদুদ আবদুল্লাহ শুভ্রকে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকি দেয়ার কারণে দ্রুত বিচার আইন আদালতে ২০২৪ সালের ১৯ আগষ্ট মামলা করেন যার নম্বর সি আর ৩৬/২৪।
কুমিল্লা কোতয়ালি মডেল থানায় চাঁদাবাজি, চুরি ও ছিনতাইয়ের কারণে মামলা করা হয় ২০২৪ সালের ১৪ নভেম্বর যার নম্বর ৪১/৮৫০। একটি অভিযোগ জমা দিয়েছেন কুমিল্লা কোতোয়ালি থানায়।
এ বিষয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মহিনুল ইসলাম বলেন, পুলিশ এই মামলাটির আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা করছে। তিনি জানান, অতি দ্রুত আসামিদেরকে গ্রেফতারসহ তথ্যসূত্রে মূল আসামিদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে। এ বিষয়ে অপরাধীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। ভুক্তোভোগী মওদুদ আবদুল্লাহ শুভ্র জানিয়েছেন তাকে মোটরসাইকেলে এসে অস্ত্র দেখিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমার নলেজে আসার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ফোর্স পাঠিয়েছি তার নিরাপত্তার জন্য।
কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নজির আহমেদ খাঁন বলেন, আমি মওদুদ আবদুল্লাহ শুভ্রকে বলেছি, কোন সমস্যা হলে যেকোন সময় আমাকে ফোন দিবেন আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
মানবধিকার কর্মী মওদুদ আবদুল্লাহ শুভ্র তার ও তার পরিবারের আইনগত সুরক্ষা এবং প্রশাসনিক সার্বিক নিরাপত্তার জন্য এবং আসামীদেরকে দ্রুত গ্রেফতারের জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।
এছাড়া মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় ড. মুহাম্মদ ইউনুসে নিকট আকুল সাহায্যে প্রার্থনা করেন তিনি।
Leave a Reply