নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুমিল্লা জুড়ে কঠোর লকডাউন চলছে। প্রথমদিনে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন ৩১১ টি মামলায় ২ লক্ষ ৬৭ হাজার ৪শ টাকা জরিমান আদায় করা হয়েছে। এছাড়া ২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেয়া হয়। লকডাউন বস্তবায়নে কুমিল্লায় জেলায় ৪৫টি মোবাইল কোর্ট, সেনাবাহিনীর ১২টি টিম, পুলিশের ৫৬টি টিম, বিজিবির ৫ টিম, আনসারের ৪ টিম কাজ করছে । এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন মোঃ কামরুল হাসান
এদিকে ১ জুলাই বৃহস্পতিবার লকডাউনের প্রথম দিনে কুমিল্লাবাসীকে সচেতন করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে কুমিল্লা নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক ও বাজার পরিদর্শন করেছেন কুমিল্লা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির প্রধান উপদেষ্টা কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য ও কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার।
লকডাউনের প্রথম দিন বেলা ১২ টা থেকে এমপি বাহার কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এলাকা ঘুরে দেখেন। এ সময় নানাহ কাজে বের হওয়া মাসুষজনকে বাড়ি ফিরিয়ে দেন ও চলাচলকৃত মোটর চালিত যানবাহকেও ফিরিয়ে দেন। কুমিল্লা নগরীর রাজগঞ্জ ও চকবাজার পরিচালকদের সাথে কথা বলেন। মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যসামগ্রী খোলাস্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিক্রয়ের জন্য বলেন।
পরিদর্শন শেষে কুমিল্লা টাউন হলে সাংবাদিকদের এমপি বাহার বলেন, প্রতিটি মানুষের জীবন বাচাঁতে লকডাউন দেওয়া হয়েছে, করোনাভাইরাসের সংক্রামন রোধে সকলকে নির্দেশনা মতো স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। তিনি বলেন, সকল গণপরিবহন বন্ধে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কুমিল্লা থেকে কোন গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে না। জরুরী ও গুরুত্বপূর্ণ কাজে বের হওয়া মানুষজন প্যাডেল চালিত রিক্সা ব্যবহার করতে পারবেন। সে জন্য কিছু প্যাডেল চালিত রিক্সা চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অটো ও মোটর চাািলত রিক্সা বন্ধে আইনশৃংখলা বাহিনীকে নজরদারি বাড়াতে বলেন। হোটেল বেকারি গুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে পার্সেল সার্ভিস দিতে পারবেন। নগর পরিদর্শনকালে জরুরী কাজে বের হওয়া মানুষজন মাস্ক ব্যবহার করায় সন্তোশ প্রকাশ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসন মোঃ কামরুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) সোহান সরকার, কুমিল্লা কোতয়াল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী।
Leave a Reply