অনলাইন ডেস্ক:
বাংলা গানের জনপ্রিয় তারকা আসিফ আকবর এবং শফিক তুহিন। কখনো তাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের কথা খুব একটা শোনা না গেলেও এখন তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে। বেশ কিছুদিন ধরেই এই দুই কণ্ঠশিল্পীর মধ্যে চরম মনোমালিন্য চলছিল।
আর তার প্রমাণ পাওয়া গেল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের পাতায় দেয়া দু’জনের পোস্টগুলোতে। খবর বিবিসি বাংলা।
ফেসবুকের পোস্টগুলোতে দেখা যায়, এই দুই তারকা একজন আরেকজনের সমালোচনায় বেশ কিছুদিন ধরেই মুখর ছিলেন।
শেষ পর্যন্ত বিষয়টি মামলায় গড়িয়েছে এবং ওই মামলায় গায়ক আসিফ আকবর এখন কারাগারে।নিজের ফেসবুক পেজে শফিক তুহিন কিছু কাগজপত্র শেয়ার করে স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে গান বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ তোলেন।বিষয়টিতে সাংঘাতিক ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন আসিফ আকবর এবং স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ অস্বীকার করেন।
তিনি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পাতায় লাইভে আসেন ৪ঠা জুন।দীর্ঘ ওই ফেসবুক লাইভে প্রীতম আহমেদ এবং শফিক তুহিনের কড়া সমালোচনা করেন আসিফ আকবর।তাদের ব্যক্তিগত জীবনের নানা বিষয় নিয়েও কথা বলেন তিনি।এ নিয়ে আসিফ আকবর, শফিক তুহিন এবং প্রীতম আহমেদের দ্বন্দ্ব আরও প্রকাশ্যে চলে আসে।
সংবাদভিত্তিক টেলিভিশন ‘চ্যানেল ২৪’ সার্চলাইট নামে ১ জুন রাতে ২০ মিনিটের একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদন থেকে সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী শফিক তুহিন জানতে পারেন আসিফ আকবর অনুমতি ছাড়াই তার সংগীতকর্মসহ অন্যান্য গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীর ৬১৭টি গান সবার অজান্তে বিক্রি করেছেন।
এর প্রেক্ষিতে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে করা একটি মামলায় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাত দেড়টায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি টিম তাকে গ্রেফতার করে।সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মিনহাজুল ইসলাম জানান, তথ্যপ্রযুক্তি আইনে তেজগাঁও থানার সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী শফিক তুহিনের করা একটি মামলায় আসিফকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যার মামলা নম্বর ১৪।
সোমবার সন্ধ্যায় শফিক তুহিনের করা এ মামলায় আসিফ আকবর ছাড়া আরও ৪-৫ জন অজ্ঞাত আসামি রয়েছে বলেও জানায় পুলিশ।বুধবার তাকে আদালতে উপস্থাপন করে সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন নজরুল ইসলাম।কিন্তু আদালত রিমান্ড নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
Leave a Reply