( জাগো কুমিল্লা.কম)
বছর ঘুরে আবারো ফিরে এলো খুশির ঈদ। শৈশব কৈশোরের ঈদ উদযাপন করার আনন্দ প্রতিটা মানুষের কাছে একেবারে অতুলনীয় ছিল। কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন মেয়র মনিরুল হক সাক্কু এর ঈদ উদযাপনের স্মৃতি রোমন্থন নিয়ে লিখেছেন মাহফুজ নান্টু:
এখন মুসলিমদের ঈদ উদযাপনের সময়। তবে সময়ের বিবর্তনে ঈদের আনন্দে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এখন আমার মনে পড়ে শৈশবে ঈদে কত মজা করতাম। নতুন পোশাক পরে বাবার সাথে ঈদগাহে যাওয়া, নামাজ পড়া। নামাজ শেষে সব ভাই বোনেরা মিলে খাবার খাওয়া। পরে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়া। এখন সে স্মৃতি মনে পড়ে। এখন আমার নগরবাসী, স্ত্রী-সন্তান ও আত্মীয়-স্বজন নিয়ে ঈদ উদযাপন করি। তবে আগে আমরা ঈদে কত মজা করতাম। এখন আর সে বিষয়গুলো দেখি না। ঈদে বাবা-চাচাদের কাছ থেকে সালামি নেয়া।
সালামির টাকায় একসাথে বন্ধুদের সাথে ঘুরে বেড়াতাম। ঈদের আগের দিন সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা নিয়ে যে কৌতূহল আর উত্তেজনা কাজ করতো তা এ প্রজন্মের কারোর মধ্যে তেমন দেখি না। আমরা টিভিতে না আকাশে চাঁদ দেখার অপেক্ষা করতাম। আমাদের সময়ে আকাশে মেঘ থাকলেও ঈদের চাঁদ দেখার জন্য আমাদের কত কৌতূহল কাজ করতো তা বলে শেষ করা যাবে না। এখন আকাশে মেঘ জমে থাকলেও সমস্যা নেই। কারণ ইন্টারনেট চাঁদ দেখার খবর পৌঁছে দেয়।
আমাদের সময় ঈদের চাঁদ দেখলে ফটকা ফোটানো একটা রেওয়াজে পরিণত হয়েছিল। এখন ঈদ আসে ঈদ যায়। কিন্তু আমার ছোট বেলার ঈদের স্মৃতি ভুলতে পারি না। তবে ব্যক্তিগত ভালো লাগার অনুভূতির চেয়ে এখন সবাইকে নিয়ে ঈদ উদযাপনের মাঝেই আনন্দ খোঁজার চেষ্টা করি। একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে সাধারণ মানুষের সুখ দেখলেই ঈদ আনন্দ অনুভূত হয়। সবাই যেন ভালোভাবে ঈদ করতে পারে সে প্রচেষ্টা সব সময়ের। সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা।
একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান যখন মাসব্যাপী সঠিকভাবে সিয়াম সাধনা করে থাকেন, মূলত ঈদের আনন্দ তাদের কাছে সবচেয়ে বেশি হয়। এখন জনপ্রতিনিধি হিসেবে ঈদ উদযাপন করি। এখন একজন জনপ্রতিনিধির বাইরে গিয়ে বলতে গেলে আমিও একজন মানুষ। আমাকে যিনি সৃষ্টি করেছেন সর্বপ্রথমে তার আদেশ পালন করা আমার জন্য ফরজ। সে হিসেবে আমি মহান আল্লাহ পাকের কাছে শোকরিয়া আদায় করছি, আমাকে ভালোভাবে সিয়াম পালন করার তৌফিক দান করেছেন। আর পুরস্কার হিসেবে রেখেছেন ঈদ।
Leave a Reply