(মো: নাজিম উদ্দিন, মুরাদনগর )
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বিভিন্নস্থানে বজ্রপাত ও বিদ্যূৎস্পৃষ্ট এবং জানালায় মাথা আটকা পড়ে এক শিশুসহ ৫জন নিহত হয়েছে।বুধবার বিকেলে উপজেলার যাত্রাপুর, কড়ইবাড়ী ও চাপিতলায় এই ঘটনা গুলো ঘটে।
নিহতরা হলেন যাত্রাপুর পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত ফিরোজ মিয়ার ছেলে সেলিম মিয়া(১৮) একই পাড়ার হামিদ মিয়ার ছেলে ইমন মিয়া (১৪), আকবপুর ইউনিয়নের কড়ইবাড়ী গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে রুবেল মিয়া(২৭), চাপিতলা গ্রামের সরকার বাড়ীর মৃত বারেক মিয়ার ছেলে জীবন মিয়া (৩৫) এবং যাত্রাপুর গ্রামের দক্ষিনপাড়ার ইউসুফ মিয়ার শিশুপুত্র আবদুল্লাহ(২)।
জানা যায়, উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের দক্ষিন পাড়া খেলার মাঠ সংলগ্ন বোরোর ফসলি জমিতে সেলিম, ইমনসহ বেশ কয়েকজন কিশোর দিনমজুর হিসেবে ধান কাটতে যায়। বিকেলে হঠাৎ বৃষ্ঠি শুরু হওয়ায় ইমন ও সেলিম দৌড়ে বাড়ী ফেরার পথে মাঠের মধ্যেই বজ্রপাতে পতিত হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরন করে। একই সময়ে আকবপুর ইউনিয়নের কড়ইবাড়ী গ্রামে কৃষি জমিতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে রুবেল মিয়া নামের একজন কৃষক নিহত হয়।
অপরদিকে বুধবার বিকেলে বৃষ্টি পরবর্তী সময়ে চাপিতলা সরকার বাড়ী সংলগ্ন বিদ্যূতের একটি খুটি ঝড়ে হেলে পড়লে ঠিকাদার কবির হোসেন খুটিটিকে সোজা করার জন্য ৮/৯জন লোককে ডেকে নিয়ে যায়। খুটিটি সোজা করার সময় হঠাৎ একটি ক্যাবল ছিড়ে পড়লে বিদ্যূৎস্পৃষ্ট হয়ে জীবন মিয়া (৩৫) ঘটনাস্থলে নিহত হয়। এসময় ইসমত আলী(৪০) নামে একজন আহত হয়।
এদিকে বুধবার বিকেলে যাত্রাপুর পশ্চিমপাড়ার ইউসুফ মিয়ার দুই বছরের শিশুপুত্র আবদুল্লাহ তার বসত ঘরের বিছানায় খেলা করার সময় বিছানা সংলগ্ন জানালার কাঠের ফাকে মাথা আটকে মারা যায়।
মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনজুর আলম ও বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী ঘটনার সত্যাতা নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিতু মরিয়ম বলেন বজ্রপাতে নিহতদের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসন থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে।
Leave a Reply