অনলাইন ডেস্ক:
মাদক ব্যবসায়ী ও পৃষ্ঠপোষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, ‘গডফাদারসহ মাদক সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগের লক্ষ্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ প্রণয়ন করা হচ্ছে। মাদকের হাত থেকে যুব সমাজকে রক্ষা করতে সরকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’
বুধবার (২০ জুন) জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে একথা জানান প্রধানমন্ত্রী। স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন বিকালে শুরু হয়।
দিনের কার্যসূচি অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্ব টেবিলে উত্থাপিত হয়। এতে জঙ্গি, সন্ত্রাস ও মাদক বিষয়ক সাংসদদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সাংসদ রুস্তুম আলী ফরাজীর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান কঠোর। মাদকের সাথে জড়িতদের শাস্তি আরও কঠোর করা হচ্ছে। মাদকের মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান করে বিদ্যমান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনকে সংশোধন করা হবে বলে সংসদকে জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-১৯৯০ এর অধীনে সংঘটিত অপরাধের বিচার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পৃথক আদালত গঠনের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে মাদক অপরাধীদের তাৎক্ষণিক সাজা দেওয়া হচ্ছে। মাদক অপরাধ সংক্রান্ত মামলার বিচার কার্যক্রম আলাদা কোনও আদালতের মাধ্যমে পরিচালনার বিষয়টি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় খতিয়ে দেখছে।’
তিনি জানান, গত ১৮ মে থেকে চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে বিপুল পরিমাণে মাদকদ্রব্য, অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং এগুলো পরিবহনের বাহন উদ্ধার ও জব্দ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত মাদকদ্রব্য সংশ্লিষ্ট ১৫ হাজার ৩৩৩টি মামলা হয়েছে। ২০ হাজার ৭৬৭ জন আসামিকে গ্রেফতার করে বিচারের জন্য সোপর্দ করা হয়েছে।’
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে, প্রধানমন্ত্রী জানান, পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি স্থাপনে শান্তি চুক্তির অনেক ধারা এরই মধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে, বাকিগুলোও বাস্তবায়নের পথে। অবহেলিত ও অনুন্নত পার্বত্য অঞ্চলে নানা উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকার সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
Leave a Reply