নিজস্ব প্রতিবেদক:
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে যুবলীগ নেতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুরের করেছে দূর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের ফরিজপুরে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় ৩ জন আহত হয়। ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন বুড়িচং ব্রাহ্মনপাড়া আসনের সংসদ সদস্য এড.আবুল হাশেম খান।
ঘটনার শিকার যুবলীগ নেতা মোতাব্বের আহমেদ জনি জানান, তিনি ময়নামতি ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য। ফারজানা ট্রান্সপোর্ট, ফারজানা টাইলস, ডেফোডিল অনলাইন (ইন্টারনেট সার্ভিস) নামে তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত¡াধিকারী। হামলাকারী আদনান হায়দার তার আপন মামাতো ভাই। তাকে প্রতিমাসে ৫ লাখ টাকা দিতে হবে। না হলে আমাকে মেরে ফেলবে। তার বিরুদ্ধে বুড়িচং থানায় একটি জিডি ও র্যাবের কাছে অভিযোগ দিয়েছি। তাই দাবিকৃত চাঁদা না পাওয়ায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আমার অন্তত ৫০-৬০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়ে গেলো।
ডেফোডিল অনলাইন সার্ভিস ইনচার্জ সাবি¦র আহমেদ জানান, মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় একটি মাইক্রোবাস ও কয়েকটি মটরবাইকে করে বুড়িচং উপজেলা চেয়ারম্যান আখলাক হায়দারের ছেলে আদনান হায়দার একদল দূর্বৃত্ত নিয়ে ফারজানা ট্রান্সপোর্ট এর অফিসে আসেন। এসে টাইলস, ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতি, ইন্টারনেট সার্ভার, টেবিল চেয়ারসহ সবকিছু ভাংচুর করেন। এ সময় দোকানের কর্মচারী সার্ভার টেকনিশিয়ান রায়হান আফ্রিদি, একটি ট্রান্সপোর্ট কোম্পানীর সেলস এক্সিকিউটিভ নাজমুল হাসান, অফিস ম্যানেজার জীবনকে মারধর করে। পরে যাওয়ার পথে হামলাকারীরা ২ টি মোটরবাইক নিয়ে যায়। আহতদের মধ্যে নাজমুলের অবস্থা গুরতর। তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ময়নামতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লালন হায়দার বলেন, আদনান হায়দার আমার ভাতিজা। তার সন্ত্রাসী কার্যক্রমে ময়নামতি ইউনিয়নবাসী অতিষ্ঠ। আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
মোবাইল ফোনে এ প্রতিবেদককে অভিযুক্ত আদনান হায়দার জানান, অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কে বা কারা হামলা করেছে আমি জানি না। আমি করোনা মারা যাওয়া এক ব্যক্তির দাফন সামগ্রী কিনতে ব্যস্ত আছি। এ বিষয়ে পরে কথা বলবো।
বুড়িচং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
Leave a Reply