অনলাইন ডেস্ক:
বগুড়া সদরের গোকুল ইউনিয়নের চাঁদমুহা আশ্রয়ণ প্রকল্প গ্রামের এক যুবতীর সাথে একই উপজেলার নামুজা বগার পাড়ার যুবকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শুধু তাই নয় বিয়ের প্রলোভনে দৈহিক সম্পর্কের ঘটনাও ঘটে।
চাঁদমুহা আশ্রয়ণ প্রকল্পের সভাপতি মোছাঃ শোভা বেগম জানান, তার আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারী মৃত দিলবর আলী ফকিরের মেয়ে মোছাঃ সুমি আকতার(২২) এর সাথে নামুজা ইউনিয়নের বগার পাড়া গ্রামের মকবুল হোসেন শেখ এর ছেলে মো. রিপন মিয়া শেখ(২৫) এর সাথে দীর্ঘ ৭/৮ মাস যাবৎ মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে তার সাথে দৌহিক সম্পর্ক স্থাপন করে মেলামেশা করে।
গত (৭ মে) সোমবার রিপন শেখ সুমি আক্তারকে বিয়ে করবে এই প্রলোভনে মোবাইলে ফোনে তাকে ডেকে নেয় নামুজা চৌমোহনী বাজার এলাকায়।
সুমি প্রেমিক রিপন শেখকে বলে তাকে বিয়ে করে ঘরে নেওয়ার জন্য সে কথা বলতেই রিপন কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে সুমি আকতার রিপন শেখের বাড়িতে বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করে। এরপর নামুজা ইউনিয়নের ৪নং ওর্য়াড সদস্য ফারুক হোসেন বিষয়টি গোকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সওকাদুল ইসলাম সরকার সবুজ ও নামুজা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম রাসেল মামুনকে জানায়।
গোকুল ইউপি চেয়ারম্যান সওকাদুল ইসলাম সরকার সবুজ নামুজা ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন ও গ্রাম্য পুলিশের সহযোগিতায় প্রেমিক রিপন শেখকে ধরে নিয়ে আসে গোকুল ইউনিয়ন পরিষদে।
বুধবার (৯ মে) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় উভয় পরিবারের সম্মতিতে ইউপি পরিষদে কাজী ও মৌলভী দ্বারা ২ লক্ষ টাকা দেন মোহরানা ধার্য্য করে ইসলামী শরিয়ত বিধান মোতাবেক তাদের বিয়ে পড়ানো হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন গোকুল ইউপি চেয়ারম্যান সওকাদুল ইসলাম সরকার সবুজ, ইউনিয়ন আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের আহব্বায়ক মেহেদী হাসান বাবু, আব্দুল হামিদ, শফিকুল ইসলাম চিকন আলী, নামুজা ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন, চাঁদমুহা আশ্রয়ণ প্রকল্পের সভাপতি শোভা বেগম।
Leave a Reply