অনলাইন ডেস্ক:
ঢাকার মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়া। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা নগরীর উজির দিঘীপাড় এলাকায়। একাই থাকতেন রাজধানী ঢাকার গুলশান ২ এর ১২০ নম্বর সড়কের এক বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে। যার মাসিক ভাড়া ১ লাখ টাকা। সেই ফ্ল্যাট থেকেই মুনিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মুনিয়ার পরিবার কুমিল্লায় থাকে। তার বাবা কুমিল্লার বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান। গুলশান থানার উপকমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী এসব তথ্য জানিয়েছেন।
শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, তরুণীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তার বোন নুসরাত জাহান বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান তানভীরের রিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচণার মামলা করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পারে, বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান সাথে মোসারাত জাহানের পরিচয় ছিল। তিনি ওই মেয়েকে এক লাখ টাকা মাসিক ভাড়ায় ফ্ল্যাটটি ভাড়া নিয়ে দেন। তিনি নিয়মিত ওই ফ্ল্যাটে যাতায়াত করতেন।
মোসারাত জাহান রবিবার, ২৫ এপ্রিল তাঁর বড় বোনকে ফোন করে বলেন, তিনি ঝামেলায় পড়েছেন। এ কথা শুনে তাঁর বড় বোন সোমবার কুমিল্লা থেকে ঢাকায় আসেন। সন্ধ্যার দিকে ওই ফ্ল্যাটে যান তিনি।
দরজায় ধাক্কাধাক্কি করলেও বোন দরজা খুলছিলেন না। এরও কিছুক্ষণ আগে থেকে বোনের ফোন বন্ধ পাচ্ছিলেন। পরে বাইরে থেকে ‘লক’ খুলে ঘরে ঢুকে বোনকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখেন। পরে তিনি বাড়িওয়ালাকে বিষয়টি জানান। তখন পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
এই ঘটনায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এবং মোসারাতের ব্যবহৃত ডিজিটাল ডিভাইসগুলো জব্দ করেছে পুলিশ।
Leave a Reply