কুমিল্লা প্রতিনিধি : কুমিল্লায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও মানবাধিকার কর্মী এবং স্থানীয় সাংবাদিক মওদুদ আবদুল্লাহ শুভ্রর ওপর একাধিকবার হামলাকারী দুর্বৃত্তদের মধ্যে এজহারনামীয় মাত্র দুই জনকে অবস্থান সনাক্ত করতে পেরেছে পুলিশ আর বাকিরা এখনও ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। এতে প্রাণনাশের শঙ্কা নিয়ে চলাচল করছেন তিনি।
মওদুদ শুভ্র জানান, আমার স্ত্রী কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত। তাকে সন্ত্রাসীরা কলেজে যাওয়ার সময় এসিড মারার হুমকি দেয়। যার দরুন আমার স্ত্রীর কলেজে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে এজন্য তার পড়ালেখা বন্ধ হয়ে গেছে । ভিকটিম শুভ্রর ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইমো তথ্য প্রজুক্তি অপব্যবহার করে হ্যাকিং ও ক্লোনিং করা সহ পরোক্ষ লোকদারা জনমনে অপুরনীয় ক্ষতি সাধনের উদ্দেশ্যে নানা বিধ তথ্য বিভ্রান্তি ও তথ্য গুজব চাদাবাজি ও মামলা প্রত্যাহার করার অসৎ উদ্দেশ্যে উক্ত কথিত প্রশাসনের নাম ধারী ” স্যার গ্রুপ ” নামীয় অস্ত্রধারী দুঃস্কৃতিকারিরা।
এ বিষয়ে মওদুদ শুভ্র বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের সাবেক ক্ষমতাসীন নেতার অনুসারী সন্ত্রাসীরা আমার বাসার সামনে পুরাতন চোধুরী পাড়ার ডেলুনি বাড়ি গলিতে কালিবাড়ীর পুকুর পাড়ে দু’টি মোটরসাইকেলে এসে অস্ত্র দেখিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যায়। এসময় তারা ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং আমাকে মামলা প্রত্যাহার করতে আল্টিমেটাম দেয়। মামলা প্রত্যাহার না করলে উল্টো তারা মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে ফাঁসাবে বলে আল্টিমেটাম দিয়ে যায়। আমাকে তারা উঠিয়ে নিয়ে যাবে এবং জানে মেরে ফেলবে। সেই সঙ্গে লাশ গুম করে ফেলবে বলেও হুমকি দিয়ে যায়। আমি কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় পুরো ঘটনা জানিয়ে তাদের নাম উল্লেখ করে জিডি করা হয় যাহার নাম্বার:- ১১৩৮-১৫/১/২০২৫ইং(কুমিল্লা কোতোয়ালি থানা)
মওদুদ আবদুল্লাহ শুভ্র জানান, আমি অফিসে যাওয়ার পথে তিনটি মোটরসাইকেলে ৬ জন সন্ত্রাসী আমার ওপর হামলা চালায়। এসময় তারা আমাকে উপর্যুপরি কিল ঘুসি মেরে আঘাত করে। আমাকে রড দিয়ে আঘাত করে। এতে আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি এবং কুমিল্লা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেই। চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করার পর আমি কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
গত বছরের ৩ আগস্ট রাতে আমি টিক্কচর ব্রিজ অতিক্রম করে শহরের দিকে আসছিলাম। এসময় বিগত আওয়ামী লীগের ১৩/১৪ জন সন্ত্রাসী ৪ থেকে ৫টি মোটরসাইকেল ও একটি সিনএনজিতে এসে আমার সিএনজির গতিরোধ করে। এসময় সন্ত্রাসীরা আমার কাছে দশ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমার সঙ্গে থাকা মোবাইল ও টাকা পয়সা এবং সাংবাদিকতার কাজে ব্যবহৃত ক্যামেরা, নগদ টাকা, মোবাইল ফোন সিম সহ ছিনিয়ে নেয়। তখন আমি তাদেরকে বলি দশ লাখ টাকা চাঁদা কেন দিতে হবে? তখন তাদের মধ্যে কয়েকজন বলে- কুমিল্লার এই শহরে কাজ করলে আমাদেরকে চাঁদা দিতে হয়। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি করলে তারা আমাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। আমি সিএনজি চালকের সাহায্যে আমার বন্ধু কুমিল্লা জজকোর্টের আইন পেশায় নিয়োজিত মোহাম্মদ জিল্লুর সহ অন্যান্য বন্ধুদের ফোন করি।তারা কয়েকজন কিছু ক্ষিনের ভীতরে এসে আমাকে নিয়ে ওই রাতেই কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করায় ও বাম হাতে সেলাই সহ পুরো শরীরে সন্ত্রাসীদের আঘাতের জখমী চিকিৎসা সেবা দেন।
ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকার ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মধ্যে পতনের দু’দিন আগে ৩ আগস্ট থেকে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না থাকার কারণে গত বছরের ১৯ আগস্ট দ্রুত বিচার আইনে অজ্ঞাতনামা ৩ জন পুরুষ ও একজন মহিলাকে আসামি করে তাদের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরসহ মামলা দায়ের করা করি। যাহা কুমিল্লা জেলা পিবিআইয়ের তদন্তনাধীন রয়েছে। মামলার ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় কুমিল্লা জেলা পিবিআইয়ের ইন্সপেক্টর মোসলেহ উদ্দিন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চূড়ান্ত প্রতিবেদন বিজ্ঞ আদালতে দাখিলের পর্যায়ে রয়েছে।
আমার জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ২০১৭ সাল থেকে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে আসছি। আমাকে অস্ত্র দিয়ে জখম, চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের দরুন কোতোয়ালি মডেল থানায় ১৪ নভেম্বর আমি ৮ জনের নামসহ অজ্ঞাত ৪ থেকে ৫ জনের নামে মামলা দায়ের করি।
সন্ত্রাসীবাহিনীরা পুনরায় ভিক্টিম মওদুদ আব্দুল্লাহ দ্রুত তার করা মামলা প্রত্যাহার চাপ প্রদান করে আসছে শুধু তাই নয় বিভিন্ন প্রশাসনের পরিচয় প্রদান এই মামলা প্রত্যাহার না করলে সন্ত্রাসী পক্ষের পরোক্ষ লোকেরা সরাসরি যে কোন মামলা দিয়ে তুলে নিয়ে সরাসরি গুম করে ইট ভাটায় লাশ পুড়িয়ে ফেলবে বলে জানায় এবং এরই সুত্র ধরে গত দিন গুলো ধরে অপরিচিত বিভিন্ন অজ্ঞাত নামা হ্যালমেট পড়া লোকজন প্রতিনিয়ত ভিক্টিম মওদুদ শুভ্র চারপাশে ঘুরাফেরা করছে। যে কোন মুহূর্তে যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে এবং সুনিশ্চিত করার সম্ভাবনা রয়েছে।এই ব্যাপারে তার ও তার পারিবারিক নিরাপত্তা বিষয়ক কুমিল্লা কোতোয়ালি অফিসার ইনচার্জ সহ তদন্তের আইও, কুমিল্লা জেলা ডি বি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ সহ সেনাবাহিনী কুমিল্লার ক্যাম্প কমান্ডার সকলকে সন্ত্রাসীদের অপরাধের কার্যকলাপ লিখিতভাবে ও মৌখিকভাবে জান – মালের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয়ে অবগত করে দ্রুত অপরাধীদের আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করা হয়।
মওদুদ আবদুল্লাহ শুভ্র কুমিল্লা জেলা প্রশাসক বরাবর ২৭ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। একই তারিখে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার বরাবর এবং কুমিল্লা র্যাব ১১ কোম্পানি কমান্ডার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
গত বছরের ৪ ডিসেম্বর জেলা ডিজিএফআই এবং এনএসআই কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মওদুদ আব্দুল্লাহ শুভ্র। ২০১৭ সাল থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন প্রশাসনিক মহলে অভিযোগ করেও সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। সন্ত্রাসীরা এতটাই বেপোরোয়া যে তারা কাউকে ভ্রুক্ষেপ পর্যন্ত করে না। প্রশাসনিক নিরাপত্তাসহ আইনগত সুরক্ষার কোন ধরনের ফল না পেয়ে হতাশ এই তরুণ সাংবাদিক এবং মানবধিকার কর্মী ।
তিনি কোতয়ালি মডেল থানার প্রথম জিডি করেন২০১৭ সালের ৩ মে যার নম্বর ১৫৭। আসামীরা তারপরও আটক না হওয়ার তিনি পূণরায় ২০১৮ সালের ২৮ জুন দ্বিতীয়বারের মত জিডি করেন যার নম্বর ১৫৩৮। মওদুদ শুভ্র একের পর এক হামলা নির্যাতনের কারণে তিনি ২০২৩ সালের ১৪ জানুয়ারি কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন যার এসডিআর নাম্বার ১৯২।
সন্ত্রাসীরা আরো ক্ষিপ্ত হওয়ার কারণে মওদুদ আবদুল্লাহ শুভ্রকে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকি দেয়ার কারণে দ্রুত বিচার আইন আদালতে ২০২৪ সালের ১৯ আগষ্ট মামলা করেন যার নম্বর সি আর ৩৬/২৪ ।
কুমিল্লা কোতয়ালি মডেল থানায় চাঁদাবাজি,চুরি ও ছিনতাইয়ের কারণে মামলা করা হয় ২০২৪ সালের ১৪ নভেম্বর যার নম্বর ৪১/৮৫০।
একটি অভিযোগ জমা দিয়েছেন কুমিল্লা কোতোয়ালি থানায়। অভিযোগ থেকে জানা গেছে, মওদুদ আব্দুল্লাহ শুভ্র মানবধিকার কর্মী ও মেসার্স মওদুদ ভ্যারাইটিজ কনস্ট্রাকশন এবং মওদুদ বিল্ডার্সের একক স্বত্বাধিকারী। আসামি পক্ষের চেনা জানা লোকজন এই বিবাদীর মোবাইল নাম্বারে হুমকি প্রদান করে আসছে। অপরাধীরা বিভিন্নভাবে মওদুদ শুভ্রকে নাজেহাল, মারধরসহ চাঁদা দাবি করছে। মওদুদ শুভ্র’কে হত্যার উদ্দেশ্যে উক্ত সন্ত্রাসীরা ছুরিকাঘাতও করেছে। তখন এই সন্ত্রাসী বাহিনীকে পুরাপুরি শনাক্ত করতে না পেরে থানায় মামলা করা যায়নি এবং আসামিরা বেশিরভাগ আওয়ামী লীগ নেতাদের অনুসারী হওয়ায় সকল স্থানে আধিপত্য বিস্তার করত। তাকে আহত করার পর পুনরায় এসে চাঁদা দাবি করায় আসামিদের চিহ্নিত করে অজ্ঞাতনামাসহ আরও কিছু আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
আর দুটি বিষয়ে দুটি মামলা হয় ৪ আগস্ট হত্যার উদ্দেশ্য ছুরি ও অস্ত্র প্রদর্শন করে শারীরিক ভাবে আহত করে এবং নিয়মিত ভাবে চাদা চাইতে থাকে চাদা না দেওয়াতে ছুরিকাঘাত, টাকা পয়সা, মোবাইল ও সাংবাদিকতার ক্যামেরা সব ছিনিয়ে নেয় পরে থানায় মামলা এই বিষয়ে না নেওয়াতে আদালতে দ্রুত বিচার আইনে চাদাবাজি মামলা দায়ের করা হয়। মামলার নাম্বার -দ্রুত সি আর-৩৬/২৪, তারিখ:১৯.০৮.২০২৪ ইং।ধারা – আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ ( দ্রুত বিচার) আইন ২০০২ ( সংশোধনী /২০১৯) এর ৪/৫ নং । অত:পর পুনরায় এই সন্ত্রাসী চক্র গত ১৩ -১৬ অক্টোবর চাদাবাজি পুনরায় করতে থাকে সরাসরি এসে এবং হুমকি ধমকি দিতে থাকে সাথে মোবাইল কল ও এস এম এস দিতে থাকে।যেটা ভিক্টিম মওদুদ শুভ্র’র মোবাইলে সব সংরক্ষিত আছে অত:পর এজহার নামীয় সন্ত্রাসী বাহিনী সহ তাদের পরোক্ষ অজ্ঞাত নামা লোক জন এবং প্রশাসনের নাম অপব্যবহার করা কঠিত অস্ত্রধারী খুনী নারী পুরুষ সম্মিলিত ” স্যার গ্রুপ ” হত্যার হুমকি ধমকি এবং সুজগ খুজতে থাকে পরে বাধ্য হয়ে শারিরিক জখমি থেকে শুরু করে সার্বিক অপরাধের বিষয় অবগত করে পৃথক আরেকটি ১৪ই নভেম্বর, ২০২৪ ইং থানায় ৮ জনকে অভিজুক্ত করে সাথে অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জনকে আসামি করে এফ আই আর / জি আর মামলা দায়ের করা হয়।
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার মামলা নাম্বার-৪১/ ৮৫০, ধারা-১৪৩/৩৪২/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৪২৭/৩৮৫/৫০৬(২)/৩৪ প্যানেল কোড ১৮৬০।
মওদুদ আব্দুল্লাহ শুভ্র জানান, মামলা দায়েরের পর প্রশাসনসহ যৌথ বাহিনী আসামিদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। আসামিরা পলাতক থাকায়, আসামি পক্ষের অচেনা লোকজন প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ছদ্মবেশে মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার ইত্যাদি দ্বারা মওদুদ শুভ্র’র চলাফেরা, গতিবিধি অনুসরণ করে হুমকি দেয়। চাঁদার টাকা না পেলে আমাকে যেকোন উপায়ে গুম-খুন করার হুমকি দেয়। এবংআমারপরিবার-পরিজনের ক্ষয়ক্ষতি করবে বলে প্রকাশ্যে, মোবাইল ফোনে ও এসএমএস দিয়ে হুমকি দেয়। ইতোমধ্যে তারা আমার ফেসবুক আইডি হ্যাকও করেছে এবং নানাবিধ অপরাধের আশ্রয় নিচ্ছে।
ভুক্তভোগী মওদুদ আবদুল্লাহ শুভ্র বলেন, আসামীদের বিরুদ্ধে আমি দ্রুত বিচার আইনে মামলা করা হয়।
তিনি আরও বলেন বিগত চার মাস ধরে এজহার নামীয় বাকী আসামীদের আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধব স্যার গ্রুপ নাম দিয়ে প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে আমাকে হুমকি দিয়ে আসছে মামলা তুলে নেয়ার জন্য । তারা আমার ফেসবুক আইডি হ্যাক করে এবং আমার মোবাইল নাম্বার ক্লোন করেছে। ১০ লাখ টাকা না দিলে আমার আমার ফেসবুক আইডি থেকে বিভিন্ন অশ্লিল ছবি ও ভিডিও পোস্টসহ নানা ধরনের হুমকি দিয়ে আসছে। এজন্য (১৫ ফেব্রুয়ারি) আমি থানায় জিডি করি সাইবার ক্রাইম ও জিটিটাল নিরাপত্তার জন্য।
জিডির সূত্রে জানা যায়, স্যার গ্রুপ নামের চক্রটি মওদুদ আবদুল্লাহ শুভ্র’র আইডি থেকে পরিচালিত একটি অনলাইন পত্রিকার পেইজ হ্যাক করে নানাভাবে ব্ল্যাক মেইলিংয়ের চেষ্টা করছে। আসামি মহিউদ্দিন গ্রেফতার হওয়ায় এজহার নামীয় অন্যান্য আসামীরা আমাকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে মামলা তুলে নেয়ার জন্য। আমি অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করছি এবং প্রশাসনের কাছে আমার জীবনের নিরাপত্তা দাবি করছি।
মাসিক মানবাধিকার খবর’র সম্পাদক ও প্রকাশক রিয়াজ উদ্দিন বলেন, মানবিক ও সামাজিক মওদুদ আব্দুল্লাহ শুভ্র উচ্চ শিক্ষিত মানুষ। তার উপর বিগত দিনে এমন বর্বরতামূলক আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানাই। অতি দ্রুত আসামিদেরকে গ্রেপ্তার করাসহ বর্তমানে যে বা যারা তাকে চাঁদাবাজি ও প্রাণনাশের হুমকি-ধামকি দিচ্ছে বিভিন্ন চক্রান্ত করে; তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে তার ও তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
ভুক্তভোগী মওদুদ আবদুল্লাহ শুভ্র বলেন, দ্রুত বিচার আইনে মামলা করা হয় প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে জখম করার জন্য এবং কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করা হয় চুরি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজির জন্য।
এ ব্যাপারে হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটি প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এডভোকেট সাঈদ শাওন বলেন, মওদুদ শুভ্র একজন মানবিক ও সামাজিক ব্যাক্তিত্ব এবং মানবাধিকার কর্মী, অপরাধীদের এই ধরনের অন্যায় আচরণের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রশাসন সহ যৌথ বাহিনীর উক্ত ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সুদৃস্টি কামনা করছি।
কুমিল্লা জজকোর্টের আইনজীবী সৈয়দ আল ইমরান পাশা বলেন, মওদুদ আবদুল্লাহ শুভ্রর বাবা ও মা দু’জনেই সরকারি স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। সন্ত্রাসীদের অবস্থান হয়ত তার বাসার সামনে যার দরুন তাকে একাধিকবার হামলা চালিয়েছে, আহত করেছে। শুভ্রর গতিবিধি লক্ষ্য করে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। ছিনতাই ও চাঁদা দাবি করার জন্য তিন কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে জখম করার জন্য দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করেছেন। এক বিষয় নিয়ে দু’টি আদালতে মামলা করা যায় না। এজন্য মওজুদ শুভ্র দু’টি ভিন্ন বিষয়ে আলাদভাবে মামলা করেছেন।
এ বিষয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মহিনুল ইসলাম বলেন, পুলিশ এই মামলাটির আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা করছে। তিনি জানান, অতি দ্রুত আসামিদেরকে গ্রেফতারসহ তথ্যসূত্রে মূল আসামিদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে। এ বিষয়ে অপরাধীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। ভুক্তোভোগী মওদুদ আবদুল্লাহ শুভ্র জানিয়েছেন তাকে মোটরসাইকেলে এসে অস্ত্র দেখিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমার নলেজে আসার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ফোর্স পাঠিয়েছি তার নিরাপত্তার জন্য। তারা চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী তাই ভুক্তভোগীর কাছে প্রশাসনের নাম ভাঙ্গায়।
কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নজির আহমেদ খাঁন বলেন, আমি মওদুদ আবদুল্লাহ শুভ্রকে বলেছি, কোন সমস্য হলে যেকোন সময় আমাকে ফোন দিবেন আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই ও মামলার আইও খাজু মিয়া জানান, এজহার নামীয় অভিযুক্ত অপরাধীসহ তাদের সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী গ্রেফতারের ব্যবস্থা ইতোমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে।
মানবধিকার কর্মী মওদুদ আবদুল্লাহ শুভ্র তার ও তার পরিবারের আইনগত সুরক্ষা এবং প্রশাসনিক সার্বিক নিরাপত্তার জন্য এবং আসামীদেরকে দ্রুত গ্রেফতার এবং আসামীদের মদদদাতা – পৃষ্ঠপোষক কথিত খুনী সিন্ডিকেইট বাহিনী ” অস্ত্রধারী স্যার গ্রুপের ” সনাক্ত করে তাদের মদদে এই ধরনের নাসকতা ছড়ানোর জন্য ভিক্টিম মওদুদ শুভ্র বাসস্থানের আশে পাশে এবং পরোক্ষ মামলা প্রত্যাহার জন্য চাপ প্রয়োগ ও চাদাবাজির আইনি বিচার চেয়ে পুরো প্রশাসনের নাম অপ- ব্যবহারকারী বে- আইনি স্যার গ্রুপকে গ্রেপ্তার করার জন্য মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় ড. মুহামদ ইউনুস এবং মাননীয় সরাস্ট্র উপদেষ্টা নিকট আকুল সাহায্যে প্রার্থনা করেন।
Leave a Reply