অনলাইন ডেস্ক:
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নাম প্রতিদিন নিলে বেহেশত নিশ্চিত বলে মন্তব্য করেছেন দলটির কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলা শাখার সভাপতি কামরুল হুদা। বুধবার দুপুরে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা কেন্দ্রীয় ঈদগা মাঠে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। এরই মধ্যে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর এ বক্তব্য ভাইরাল হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
ভাইরাল হওয়া বক্তব্যে কামরুল হুদাকে বলতে শুনা যায়, ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নাম নিলেই প্রতিদিন, বেহেশত নিশ্চিত। আমি বিশ্বাস করি। কারণ উনি দেশের জনগণের সাথে হঠকারিতা করেন নাই।’ আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে কামরুল হুদা বলেন, শেখ সেলিম, শেখ হেলালসহ এ শেখ পরিবার লুট করে দেশটাকে শেষ করেছে, এ শেখ পরিবারে কেউ মুক্তিযোদ্ধা নাই। যুদ্ধ না করেই আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দল হয় কি করে ? ৯৬ সালের নির্বাচনের পর আবেদন করে আওয়ামী লীগের অনেকেই মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন। শেখ হাসিনা সাড়ে তিনশ’ মন্ত্রী এমপি নিয়ে পালিয়েছেন। স্থানীয় জামায়াতের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘একটা দল (জামায়াত) আমাদের সাথে ছিল। তারা অতীতে আমাদের উপর ভর করে ক্ষমতায় এসেছে। চৌদ্দগ্রামবাসী জানে তাদের ভোটের হার কতো।’ আগামি নির্বাচনের সময় প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য ২শ’ করে ছোট লাঠি প্রস্তুত করার জন্য তিনি নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সভায় উপস্থিত দলের একাধিক নেতা বলেন, ‘কোন মুসলিম এমন বক্তব্য দিতে পারে ? তাঁর এমন বক্তব্যে আমরা বিস্মিত, দলের প্রতি অতি আবেগ দেখাতে গেলে যা হয়। যেখানে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এর পাশেই মসজিদ। জোহরের নামাজের সময় হলে তিনি (কামরুল হুদা) মোয়াজ্জিনকে মাইকে আজান না দিয়ে মুখে আজান দিতে বলেন। এসময় অনুষ্ঠানের বিরতি না দিয়েই অনুষ্ঠান চলমান রাখা হয়। এতে সমালোচনার সৃষ্টি হয়।’
অনুষ্ঠানে এমন বক্তব্য দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন বিএনপি কামরুল হুদা। তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান মক্কা শরীফে হাজার হাজার হাজিদের সুবিধার্থে বেশ কিছু নিম গাছ লাগিয়েছিলেন। ওই কারণে উনার নাম নিলে বেহেশতে যাওয়া যাবে, এটা কি ভুল বলেছি।’
রাতে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক এমপি হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন বলেন, ‘আমি এমন বক্তব্যটি এখনো শুনিনি, ভিডিওটি দেখতে হবে।’
Leave a Reply