মারুফ আব্দুল্লাহ:
ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে এক পথশিশুকে অপহরণ করে এনেছিলেন কুমিল্লার এক নারী। অপহরণের শিকার শিশুটিকে (৬) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ওই নারীর স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে করা হতো শারীরিক নির্যাতন। মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) ওই শিশুকে নির্যাতনের শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা হাতেনাতে ধরলে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। পরে প্রতিবেশীর মামলায় গ্রেফতার হন অভিযুক্ত দম্পতি।
মামলায় ধর্ষণের অভিযোগে সুমন ও শিশুকে তুলে আনার অভিযোগে তার স্ত্রী রিনাকে আসামি করা হয়। ভুক্তভোগী শিশুর পরিচয় জানা যায়নি। তবে কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে তুলে এনেছে বলে জানিয়েছেন রিনা।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাত ৮টায় সুমন ও তার স্ত্রী ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে এক শিশুকে অপহরণ করে তুলে নিয়ে আসেন কুমিল্লার রেলওয়ে কোয়াটারের হারুন মিয়ার ভাড়া বাসায়। সেখানে তারা থাকতেন। বাসায় আনার পর রিনা ঘরের বাইরে গেলেই সুমন বিভিন্ন সময় শিশুকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন। এ সময় ওই শিশু কয়েকবার ধর্ষণের শিকারও হয়। যার কারণে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পায়। নির্যাতনের প্রভাবে তার চোখ-মুখ ফুলে সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিকাল ৫টায় বিষয়টি জানতে পেরে সুমন ও রিনাকে আটক করে গণপিটুনি দেন স্থানীয়রা । পরে তারা ওই শিশুকে উদ্ধার করেন।
কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার ওসি মহিনুল ইসলামকে বলেন, ওই যুবককে স্থানীয় জনতা গণপিটুনি দিলে সে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে। পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে থানায় আনলে এক প্রতিবেশীর মামলায় তাকে ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
Leave a Reply