অনলাইন ডেস্ক:
গোপালগঞ্জে ছদ্মবেশ ধারণ করে ডিভোর্সী এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে উঠেছে তারই সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পুলিশ সুব্রত দেবনাথ (৩৬) নামে ঐ যুবককে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার সুব্রত ঝালকাঠি শহরের পূর্ব কাঠপট্টি এলাকার ননী গোপাল দেবনাথের ছেলে ও ওই নার্সের সাবেক স্বামী। নির্যাতিতা নার্স গোপালগঞ্জের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা চক্ষু হাসপতাল ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে কর্মরত।
এ ঘটনায় নির্যাতিত ওই নার্স নিজে বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার গোপালগঞ্জ সদর থানায় সুব্রত দেবনাথ ও তার ’সহযোগী তুহিন (৩৫) ও লিমাকে (৩০) আসামি করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, পাঞ্জাবি ও টুপি পরে ছদ্মবেশে বুধবার বিকেলে ওই নার্সের ঘরে প্রবেশ করেন সুব্রত। পরে ছুরি ধরে ও ইনজেকশনের সিরিঞ্জ ফুটিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে ওই নার্সকে ধর্ষণ করেন। এর আগে সুব্রতর দুই সহযোগী নার্সের ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে চলে যায়।
ধর্ষণের শিকার নার্স জানান, সুব্রত ২০১১ সালের ১১ মে তাকে জোর করে বিয়ে করে। এরপর পারিবারিক কলহের কারণে ২ বছর আগে ঝালকাঠি এসএসপি সার্কেল অফিসে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহযোগীতায় সুব্রতর সঙ্গে তার বিচ্ছেদ ঘটে। বুধবার বিকেলে ঝালকাঠি শহরের কাঠপট্টি এলাকার সুব্রতর প্রতিবেশি এসএম শাহজাহানের ছেলে তুহিন ও তার স্ত্রী লিমা তার গোপালগঞ্জের ভাড়া বাড়িতে আসে। তারা বিভিন্নভাবে তাকে বুঝিয়ে সুব্রতর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার প্রস্তাব দেয়। এতে তিনি অসম্মতি জানান।
নার্স আরও জানান, এ সময় হঠাৎ ছদ্মবেশে সুব্রত টুপি ও পাঞ্জাবি পড়ে তার ঘরে প্রবেশ করে। কিছুক্ষণ পর কৌশলে তুহিন ও লিমা ঘর থেকে বের হয়ে দরজায় বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে চলে যায়। পরে সুব্রত তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করে।
নার্স জানান, রাতের কোনও একসময় তুহিন এসে ঘরের দরজার তালা খুলে দিয়ে চলে যায়। রাত ৩ টার দিকে সুব্রত বাথরুমে গেলে তিনি ঘরের দরজায় এসে সেটি খোলা দেখতে পান। পরে তিনি বাইরে থেকে দরজায় তালা লাগিয়ে সবাইকে ঘটনাটি জানান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে সুব্রতকে আটক করে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়ে সুব্রতকে নার্সের ভাড়া বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
Leave a Reply