অনলাইন ডেস্ক:
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ গল্লাক ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শাহীন সুলতানা ফেন্সিকে (৫৬) কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার রাত ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে শহরের ষোলঘর পাকা মসজিদ-সংলগ্ন এলাকায় নিজ বাড়ির দ্বিতীয় তলায় খুন হন ফেন্সি।
তিনি চাঁদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলামের স্ত্রী ও কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন।খুনের ঘটনায় ফেন্সির স্বামী জহিরুল ইসলাম ও তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
ফেন্সির ভাই ষোলঘর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু নঈম অভিযোগ করেন, ফেন্সির স্বামী জহিরুল ইসলাম তাকে হত্যা করেছেন। তিনি কয়েক বছর আগে আরেকটি বিয়ে করেছেন। তা নিয়ে পরিবারে বিরোধ ছিল।ফেন্সির আরেক ভাই ফোরকান বলেন, এ হত্যাকান্ড পূর্বপরিকল্পিত। তিনিও জানান, দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে ফেন্সির পরিবারে ঝামেলা ছিল। সে কারণেই তাকে হত্যা করা হয়েছে।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি ওয়ালী উল্লাহ ওলি জানান, সোমবার রাত ১১টার দিকে শহরের ষোলঘর পাকা মসজিদ এলাকায় নিহতের বাড়ির শোবার ঘর থেকে পুলিশ ফেন্সির রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে।
তিনি বলেন, “মরদেহ দেখে প্রাথমিকভাবে আমাদের মনে হয়েছে, মাথায় প্রচণ্ড আঘাতের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার সাথে কে বা কারা জড়িত এখনো তা আমরা জানতে পারিনি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্বামী অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম ও তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।”
এদিকে আটক হওয়ার আগে ফেন্সির স্বামী অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “আমি বাসায় ছিলাম না। বাসায় এসে দেখি রুমের দরজা খোলা। রুমের মেঝেতে ফেন্সীর রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে। পরে আমার চিৎকারে লোকজন ছুটে আসে।”
জহিরুল ও ফেন্সি দুজনেরই গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার মৈশাদী ইউনিয়নে। ১৯৮৬ সালে তাদের বিয়ে হয়। তাদের তিন মেয়ের মধ্যে দুইজন দেশের বাইরে থাকেন। আরেকজন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে পড়ছেন।
Leave a Reply