(এম.এইচ মনির, কুমিল্লা)
কুমিল্লা সদর আসনের এমপি ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার বলেছেন, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের কারণে কুমিল্লা এগুতে পারেনি। তাই বার বার কুমিল্লার মানুষ বঞ্চিত হয়েছে। মহান জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে আমিই প্রথম ‘কুমিল্লা’ বিভাগ দাবি করেছি।
কুমিল্লা বিভাগ এখন বাস্তবায়নের পথে। তবে নামকরণ নিয়ে কিছুটা জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। কুমিল্লা বিভাগের নাম ‘কুমিল্লা’ হবে এটা যৌক্তিক। গোপালগঞ্জ বিভাগের নাম যদি ‘গোপালগঞ্জ’ হয় তাহলে কুমিল্লা বিভাগের নামও ‘কুমিল্লা’ হবে। আর গোপালগঞ্জ বিভাগের নাম যদি ‘পদ্মা’ হয় তাহলে কুমিল্লা বিভাগের নাম ‘মেঘনা’ হলে আমাদের আপত্তি নেই। তখন আমরা চাইব যমুনা তীরের বিভাগের নামও যেন ‘যমুনা’ হয়। কারণ স্বাধীনতার সংগ্রামে সময় আমরা স্লোগান দিয়েছিলাম পদ্মা,মেঘনা ,যমুনা – তোমার আমার ঠিকানা। আমরা আবারো সেই স্লোগানকে ধারণ করে এখন সমৃদ্ধ দেশ গড়ব।
বৃহস্পতিবার বিকালে নগরীর ২২ নং ওয়ার্ডে আক্রাম উদ্দিন হাই স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামীলীগ আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার এমপি এসব কথা বলেন ।
কুমিল্লার উন্নয়ন প্রসঙ্গে এমপি বাহার বলেন, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন আমি সৃষ্টি করেছি। কুমিল্লা সিটি সকল এলাকা এখন আমার নির্বাচনী এলাকায় এসেছে। দক্ষিনের ৯ ওয়ার্ডের মানুষ এখন আর অভিভাবক বিহীন থাকবে না। আমাদের দল যদি আবারো ক্ষমতায় আসে তাহলে সিটির দক্ষিনাংশকে আধুনিক সিটিতে রুপান্তর করা হবে। নগরীর দক্ষিনের ৯ টি ওয়ার্ড উন্নয়নে ইতিমধ্যে ১২ জন কাউন্সিলরের জন্য ২৪ কোটি টাকার নতুন বিশেষ প্রকল্পের ব্যবস্থা করেছি। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে দক্ষিনে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে।
তিনি আরো বলেন,কুমিল্লা শহরের মতো নগরীর ২৭ ওয়ার্ডকে সন্ত্রাস,চাঁদাবাজ মুক্ত করে শান্তির নগরী গড়ে তোলা হবে। সকল নেতা-কর্মীদের জন্য আমার দরজা খোলা থাকবে। আমার সাথে সরাসরি কথা বলবেন। কোন নেতা নিয়ে আসতে হবে। ক্ষমতার মধ্যে থাকলে সমাধান করে দিব।নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে।
উন্নয়ন প্রসঙ্গে এমপি বাহার বলেন ,বিগত ৯ বছরে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এলাকা ও কুমিল্লা-৬ আসনে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। শাসনগাছায় ফ্লাইওভার, গোমতি নদীর উপর তিনটি ব্রিজ নির্মাণ ও বিবির বাজার বন্দরের সড়ক উন্নয়ন সহ কুমিল্লা সদরে এমন কোন সড়ক নেই যেখানে উন্নয়ন হয়নি। গোমতীর বাঁধের উপর দিয়ে ৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ে রাস্তা নির্মান করেছি। কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের জন্য বিশেষ বরাদ্ধ এনে দিয়েছি। আগামী দিনগুলিতে এভাবে ধারাবাহিক উন্নয়নের মাধ্যমে কুমিল্লাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিব। আজ কুমিল্লা অনেক ক্ষেত্রেই শীর্ষে রয়েছে। স্লোগান উঠেছে কুমিল্লা এগুলেই বাংলাদেশ এগুবে।
প্রথমবারের মতো কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ বিশাল ইফতার মাহফিলে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত,সহ-সভাপতি এড.জহিরুল ইসলাম সেলিম,আবদুল আলিম কাঞ্চন সহ মহানগর আওয়ামী লীগের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া মহানগর যুবলীগ নেতা ও জেলা পরিষদের প্যানেল মেয়র আবদুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদ, আদর্শ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এড.মোঃ আমিনুল ইসলাম টুটুল,লাকসাম উপজেলা চেয়ারম্যান মো.ইউনুছ ভূইয়া, জাগ্রত মানবিকতার সেক্রেটারী তাহসিন বাহার সূচনা,মহানগর শ্রমিকলীগের আহবায়ক আবদুল কাইয়ুম, মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক জহিরুল ইসলাম রিন্টু,মহানগর ছাত্রলীগের আহবায়ক আবদুল আজিজ শিয়ানুক সহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ইফতারে অংশ নেন।
Leave a Reply