( জাগো কুমিল্লা.কম)
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলে কুমিল্লা বোর্ডের শতকরা পাশের হার ৮০.৪০ । রবিবার দুপুরে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের কনফারেন্স হলে এক সংবাদ সম্মলনে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মো: আসাদুজ্জামান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের সচিব আব্দুস ছালাম। এই বোর্ডে মোট জিপিএ পেয়েছে ৬ হাজার ৮ শ ৬৫ জন।
গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সারাদেশে ও বিদেশের কয়েকটি কেন্দ্রে একযোগে এসএসসি ও সমমানের লিখিত বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৬ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে চলে ৪ মার্চ পর্যন্ত।
( জাগো কুমিল্লা. কম)
এবারের এসএসসি পরীক্ষায় কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডর আওতাধীন কুমিল্লা, নোয়াখালি, ফেনী , চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মধ্যে জিপিএ ৫ প্রাপ্তিতে শীর্ষ ১২ প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এর মধ্যে কুমিল্লা জেলার ৫ টি প্রতিষ্ঠান শীর্ষে রয়েছে। ৬ষ্ঠ ও ৭ম অবস্থানে রয়েছে নোয়াখলি জেলা দুইটি প্রতিষ্ঠান। ৮ম অবস্থানে রয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি স্কুল, ৯ম ও ১০ অবস্থানে রয়েছে ফেনীর দুইটির স্কুল, ১১ ও ১২ তম অবস্থানে রয়েছে চাঁদপুরের দুইটি স্কুল।
জাগো কুমিল্লা পাঠকদের জন্য জিপিএ ৫ প্রাপ্তিতে শীর্ষ ১২ প্রতিষ্ঠানের বিস্তারিত দেওয়া হলো:
১। কুমিল্লা মর্ডান হাই স্কুল। পরীক্ষার্থী ছিল ১২ শ ৩৯ জন। জিপিএ৫ পেয়েছে ৩৮৮ জন। পাশের হার ৯৯.৬০ %
২। কুমিল্লা জিলা স্কুল। মোট পরীক্ষার্থী ৩৯৫ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৩৩০ জন। শতভাগ পাশের হার।
৩।নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কুমিল্লা । মোট পরীক্ষার্থী ৩৭১ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে ২৯৯ জন । পাশের হার ৯৯.৭৩ %।
৪। ইবনে তাইমিয়া স্কুল এন্ড কলেজ, কুমিল্লা । মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৯২১ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে ২০২ জন। পাশের হার ৯৯.৩৫ %
৫। ইস্পাহানী স্কুল এণ্ড কলেজ, কুমিল্লা । মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২৪২ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ শ ৮৮ জন। শতভাগ পাশের হার।
৬। নোয়াখালি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় । মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৩৫৫ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১শ ৪৫ জন। পাশের হার ৯৯.৭২ %
৭। নোয়াখালি জিলা স্কুল। মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৩৩৯ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১শ ৪৫ জন। পাশের হার ৯৮.৫৩ %
৮। আনন্দ সরকারি হাই স্কুল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২৭৫ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ শ ৩৮ জন। শতভাগ পাশের হার।
৯। ফেনী সরকারি পাইলট হাই স্কুল। মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৩১৬ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৩৫ জন। পাশের হার ৯৯.৬৮%।
১০। ফেনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২৩৬ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১২৪ জন। পাশের হার ৯৮.৭৩%
১১। আল আমিন একাডেমী, চাঁদপুর। মোট পরীক্ষার্থী ৫৯২ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১১৮ জন। পাশের হার ৯৬.২৮%
১২। মাতৃপিঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চাঁদপুর। মোট পরীক্ষার্থী ২৮০ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১০২ জন। পাশের হার ৯৮.৫৭%
শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানান ,গত বছর তুলনায় এ বছর ২শ ৬৮ জন পরীক্ষার্থী কমেছে। ২০১৭ সালে এসএসসি পরীক্ষার পাশের ছিল ৫৯.০৩ । যা এ বছর বেড়ে ৮০.৪০ ভাগ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় শতকরা ২১.৩৭ ভাগ ফলাফল বৃদ্ধি পেয়েছে।
এই বোর্ডে মোট জিপিএ পেয়েছে ৬ হাজার ৮ শ ৬৫ জন। এবার পরীক্ষায় জিপিএ ৫ প্রাপ্তিতে ছেলেরা এগিয়ে। মেয়েরা জিপিএ৫ পেয়েছে ৩ হাজার ৩ শ ৭৯ জন। ছেলেরা পেয়েছে ৩ হাজার ৪ শ ৮৬ জন।
এ বছর কুমিল্লা বোর্ডে ১ লক্ষ ৮২ হাজার ৭শ ১১ জন জন পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে। এর মধ্যে পাশ করেছেন ১ লক্ষ ৪৬ হাজার ৮ শ ৯৭ জন। ফেল করেছে ৩৫ হাজার ৮ শ ১৪ জন। তথ্য সূত্র: কুমিল্ল শিক্ষা বোর্ড।
আক্কাস আল মাহমুদ হৃদয়
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার চান্দলা মধ্য পাড়া গ্রামে এস এস সি পরীক্ষায় ফেল করায় হালিমা আক্তার মনি (১৭) পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা করেছে।রবিবার সন্ধ্যায় তার বশত ঘরের দরজা বন্ধ করে ৎওড়না পেচিয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্নহত্যা করে।
নিহতের মা আয়শা আকতার জানান, আমার মেয়ে আজ রোজা রেখেছে। এই বছর চট্রগ্রাম ষোল শহর পাবলিক স্কুল থেকে ব্যবসা শাখায় এস এস সি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে। তার রেজিঃ নং ১৫১৪৮১৯০৭৪ রোল নং ৫২৫৮৫২ সে জানতে পারে পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়। ইফতারির সময় তাকে খুজে না পেয়ে পাশের ঘরের দরজা খোলে বাড়ীর লোকজন দেখতে পায় সে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় আছে। বাড়ীর লোকজন তাকে জীবিত মনে করে সিলিং ফ্যানের থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় নামিয়ে দেখতে পায় সে মারা গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাহ্মণপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: শাহ আলম জাগো কুমিল্লা ডট কমকে জানান, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সে এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া আত্মহত্যা করেছে। বিষয়টি তদন্ত শেষ জানা যাবে।
( জাগো কুমিল্লা.কম)
বার বার ফলাফল বিপর্যয়ের পর নড়ে চড়ে বসে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড। বোর্ডের আওতাধীন ১ হাজার ৭ শ ৭ টি প্রতিষ্ঠানে এস এস সি নির্বাচনী পরীক্ষায় কোন অকৃতকার্য পরীক্ষার্থী মূল পরীক্ষায় অংশগ্রহন করানো হয়নি। তবুও কেন এত ফেল !
এ বিষয়ে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের উপ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো: শহিদুল ইসলাম জানান, আমরা প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভাল ফলাফলে জন্য মতবিনিময় সভা করেছি। নির্বাচনী পরীক্ষায় কোন অকৃতকার্য পরীক্ষার্থী মূল পরীক্ষায় অংশগ্রহন না করানোর নির্দেশনা ছিল। তবুও কেন এত ফেল করলো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানান ,গত বছর তুলনায় এ বছর ২শ ৬৮ জন পরীক্ষার্থী কমেছে। ২০১৭ সালে এসএসসি পরীক্ষার পাশের ছিল ৫৯.০৩ । যা এ বছর বেড়ে ৮০.৪০ ভাগ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় শতকরা ২১.৩৭ ভাগ ফলাফল বৃদ্ধি পেয়েছে।
এই বোর্ডে মোট জিপিএ পেয়েছে ৬ হাজার ৮ শ ৬৫ জন। এবার পরীক্ষায় জিপিএ ৫ প্রাপ্তিতে ছেলেরা এগিয়ে। মেয়েরা জিপিএ৫ পেয়েছে ৩ হাজার ৩ শ ৭৯ জন। ছেলেরা পেয়েছে ৩ হাজার ৪ শ ৮৬ জন।
( জাগো কুমিল্লা.কম)
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলে কুমিল্লা বোর্ডের শতকরা পাশের হার ৮০.৪০ । এই বোর্ডে মোট জিপিএ পেয়েছে ৬ হাজার ৮ শ ৬৫ জন। এবার পরীক্ষায় জিপিএ ৫ প্রাপ্তিতে ছেলেরা এগিয়ে। মেয়েরা জিপিএ৫ পেয়েছে ৩ হাজার ৩ শ ৭৯ জন। ছেলেরা পেয়েছে ৩ হাজার ৪ শ ৮৬ জন।
এ বছর কুমিল্লা বোর্ডে ১ লক্ষ ৮২ হাজার ৭শ ১১ জন জন পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে। এর মধ্যে পাশ করেছেন ১ লক্ষ ৪৬ হাজার ৮ শ ৯৭ জন। ফেল করেছে ৩৫ হাজার ৮ শ ১৪ জন।
রবিবার দুপুরে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের কনফারেন্স হলে এক সংবাদ সম্মলনে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মো: আসাদুজ্জামান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের সচিব আব্দুস ছালাম।
( জাগো কুমিল্লা.কম)
কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডর আওতাধীন নোয়াখালি, ফেনী , চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কে পেছনে ফেলে জিপিএ ৫ প্রাপ্তিতে শীর্ষে রয়েছে কুমিল্লার ৫ টি প্রতিষ্ঠান।
এর মধ্যে ৩৮৮টি জিপিএ ৫ পেয়ে প্রথম স্থান রয়েছে কুমিল্লা মর্ডান হাই স্কুল , এ স্কুলে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১২ শ ৩৯ জন. ফেল করেছে ৪ জন। কুমিল্লা জিলা স্কুলে দ্বিতীয় অবস্থানে। জিপিএ ৫ পেয়ে ৩৩০টি. মোট পরীক্ষার্থী ৩৯৫ জন, শত ভাগ পাশ।
তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে কুমিল্লা ফয়জুন্নেসা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। ৩৭১ জন পরীক্ষার মধ্যে পাশ করেছে ৩৭০ জন। মোট জিপিএ ২৯৯ জন।
চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে কুমিল্লার ইবনে তাইমিয়া স্কুল এন্ড কলেজ। এই স্কুলে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৯২১ জন, পাশ করেছে ৯১৫ জন। জিপি ৫ পেয়েছে ২০২ জন।
পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে কুমিল্লার ইস্পাহানী স্কুল এণ্ড কলেজ। মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২৪২ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ শ ৮৮ জন।
শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানান ,গত বছর তুলনায় এ বছর ২শ ৬৮ জন পরীক্ষার্থী কমেছে। ২০১৭ সালে এসএসসি পরীক্ষার পাশের ছিল ৫৯.০৩ । যা এ বছর বেড়ে ৮০.৪০ ভাগ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় শতকরা ২১.৩৭ ভাগ ফলাফল বৃদ্ধি পেয়েছে।
এই বোর্ডে মোট জিপিএ পেয়েছে ৬ হাজার ৮ শ ৬৫ জন। এবার পরীক্ষায় জিপিএ ৫ প্রাপ্তিতে ছেলেরা এগিয়ে। মেয়েরা জিপিএ৫ পেয়েছে ৩ হাজার ৩ শ ৭৯ জন। ছেলেরা পেয়েছে ৩ হাজার ৪ শ ৮৬ জন।
এ বছর কুমিল্লা বোর্ডে ১ লক্ষ ৮২ হাজার ৭শ ১১ জন জন পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে। এর মধ্যে পাশ করেছেন ১ লক্ষ ৪৬ হাজার ৮ শ ৯৭ জন। ফেল করেছে ৩৫ হাজার ৮ শ ১৪ জন।
রবিবার দুপুরে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের কনফারেন্স হলে এক সংবাদ সম্মলনে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মো: আসাদুজ্জামান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের সচিব আব্দুস ছালাম।
( জাগো কুমিল্লা.কম)
কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডর আওতাধীন নোয়াখালি, ফেনী , চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কে পেছনে ফেলে জিপিএ ৫ প্রাপ্তিতে শীর্ষে অবস্থান করছে কুমিল্লা মর্ডান হাই স্কুল।
এদিকে ফলাফল প্রকাশকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের ভিড়ে সকাল থেকেই মুখরিত হয়ে উঠতে থাকে স্কুল প্রাঙ্গন। ফলাফলের প্রত্যাশায় উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থীদের অপেক্ষা করতে দেখা যায়।
অবশেষে দুপুর দেড়টায় সকল উদ্বিগ্নতার অবসান ঘটিয়ে স্কুলে আনুষ্ঠানিক ফলাফল প্রকাশ করে। এসময় আনন্দে মেতে উঠে শিক্ষার্থীরা। তাদের সাথে আনন্দ ভাগ করে নেয় স্কুলের শিক্ষক ও অভিভাবকরাও।
এবার কুমিল্লা মডার্ন হাই স্কুল থেকে ১২৩৯ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ১২৩৫ জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। কুমিল্লা মডার্ন হাই স্কুলে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৮৮ জন। পাশের হার ৯৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
কুমিল্লা মডার্ন হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা কাঙ্খিত ফল পাওনি তারা মনোবল না হারিয়ে আবারও পূর্ণ উদ্যোমে পড়াশোনা শুরু করে দাও।
হতাশ না হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। পড়াশোনায় মনোযোগী হলে এবং পরিশ্রম করলে জীবনে সাফল্য আসবেই।
( জাগো কুমিল্লা.কম)
কুমিল্লার ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক কুমিল্লা জিলা স্কুল প্রতিবছরের ন্যায় এবারও এস এস সি পরীক্ষায়ও নিজের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রেখেছে। রবিবার প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ প্রাপ্তিতে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে দ্বিতীয় স্থান করেছে।
এ বছর মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৩৯৫ জন। মোট জিপিএ ৫ পেয়েছে ৩৩০ জন। বাকিরা সবাই এ গ্রেড পেয়ে কৃতকার্য হয়েছে। বর্তমান প্রধান শিক্ষককের গতিশীল নেতৃত্বে জিলা স্কুল প্রতিবছরই সাফল্যের ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রেখেছে। গত বছর স্কুলে ৩৬৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছিল ২৮১ জন।
কুমিল্লা জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাশেদা আক্তার জানান, সব ধরণের পাবলিক পরীক্ষায় ফলাফলের অভাবনীয় সাফল্যের দাবিদার এই স্কুল। সুদীর্ঘ ঐহিহ্যের ধারক ও বাহক এই স্কুল প্রতিবছর পুরনো রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন রেকর্ড গড়ার কাজে লিপ্ত।
আসলে ছাত্র-শিক্ষক- অভিভাবক এই তিন দলের সমন্বিত কর্ম প্রচেষ্ঠার পুরস্কার হিসেবে বোর্ডে সেরা স্থানটি দখল করেছে।প্রতি শিক্ষককে অনধিক ১০ জন করে পরীক্ষার্থীকে পারিবারিক পর্যায়ে তদারকির দায়িত্বদান জিলা স্কুলের ভাল ফলাফলর অন্যতম কারণ।
(মোঃ শাহীন আলম,চৌদ্দগ্রাম )
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পেশায় রাজমিস্ত্রী হয়েও ৩২ বছর বয়সে দাখিল পাশ করেছেন জাকির হোসেন নামের এক যুবক। রোববার প্রকাশিত ফলে উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের কাছারিপাড়া ফাযিল মাদরাসার থেকে তিনি জিপিএ-৪.৩০ পেয়েছেন। জাকির একই গ্রামের হতদরিদ্র কৃষক নুরুল ইসলামের পুত্র। তিনি দুই মেয়ে ও এক ছেলে সন্তানের জনক। তার সাফল্যে আনন্দিত হয়েছেন মাদরাসার শিক্ষক, এলাকাবাসী ও পরিবারের লোকজন।
গতকাল রোববার দুপুরে সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, জাকির হোসেন আর্থিক সমস্যার কারণে পড়ালেখা বন্ধ করে রাজমিস্ত্রী কাজে যোগ দেন। রাজমিস্ত্রী হিসেবে এলাকায় তাঁর ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। কিন্তু তিনি নিয়মিত পবিত্র কোরআন ও হাদিস অধ্যয়ন করতে থাকেন। সুরা আলাক পড়ে অনুপ্রাণিত হয়ে ১৬ বছর আগে আবারও নিয়মিতভাবে পড়ালেখা শুরু করেন। এরই মধ্যে তিনি ২০১৫ সালে কাছারিপাড়া মাদরাসা থেকে জেডিসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছেন।
সম্প্রতি তিনি মাদরাসার আরবী প্রভাষক মাওলানা মশিউর রহমান সালেহীর বেশি পরামর্শ নিতেন। প্রভাষকও যতœ সহকারে জাকিরকে পড়াতেন। অন্যান্য শিক্ষকরাও তাকে উৎসাহ দিতেন। বর্তমানে তিনি দুই মেয়ে ও এক ছেলে সন্তানের জনক। বড় মেয়ে দ্বিতীয় শ্রেণি ও ছোট মেয়ে নার্সারিতে পড়ালেখা করে। ছেলেকে আগামী বছর মাদরাসায় ভর্তি করানো হবে।
কি কারণে ছেলে-মেয়ে এবং সংসার থাকা স্বত্ত্বেও ৩২ বছর বয়সে দাখিল পরীক্ষা দিলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে জাকির হোসেন বলেন-শিক্ষার কোন নির্দিষ্ট বয়স নেই। জ্ঞান অর্জনের জন্যই পড়ালেখা করেছি। কারন-মুর্খ বন্ধুর চেয়ে শিক্ষিত শত্রু অনেক ভালো। আমি চাই-সমাজের সকলেই শিক্ষিত হয়ে যাক। তাহলে সমাজে আর হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানি থাকবে না। সকলেই আল্লাহর নির্দেশিত পথেই চলবে।
এদিকে কৃষক নুরুল ইসলামের তিন ছেলের মধ্যে জাকির হোসেন সবার ছোট। সাংবাদিক ও স্থানীয়দের মাধ্যমে ছেলের সাফল্যের খবর পেয়ে তিনিও আনন্দিত হয়ে আল্লাহর নিকট শুকরিয়া প্রকাশ করেছেন।
এ ব্যাপারে মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মাখছুদুর রহমান বলেন, জাকির হোসেন নামের ছেলেটি খুবই পরিশ্রমী। তার সাফল্যে আনন্দিত হয়েছি। আমি তার উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করছি।
Leave a Reply