মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা
দীর্ঘদিন ধরে ইমিটেশনের অলংকারের ব্যবসা করছেন ইয়াদ আলী (৪০)। সেই বিশ্বাসকে পুঁজি করে আশপাশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে করেছেন প্রতারণা। তাঁর দোকানে আসা ক্রেতাদের দেখানোর কথা বলে আশপাশের চারটি দোকান থেকে ৫০ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে লাপাত্তা তিনি।
গতকাল শনিবার (১ জুন) এ ঘটনা ঘটে কুমিল্লা নগরীর ছাতিপট্টি এলাকার স্বর্ণপট্টিতে। গত রোববার এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
স্থানীয়রা জানায়, ১০ বছরের বেশি সময় ধরে নগরীর ছাতিপট্টি এলাকায় ইমিটেশনের অলংকারের ব্যবসা করছেন ইয়াদ আলী ও তার ভাই আকরাম হোসেন। গতকাল শনিবার দুপুরে ইয়াদ আলী তাঁর দোকানে আসা ক্রেতাদের দেখানোর কথা বলে ছাতিপট্টি এলাকার বিপাশা শিল্পালয়, ফারুক জুয়েলার্স, কুমিল্লা জুয়েলারি ও অপর্ণা শিল্পালয় থেকে অন্তত ৫০ ভরি স্বর্ণালংকার তাঁর দোকানে নিয়ে যান। পরে বিকেল ৪টা পর্যন্ত তিনি দোকান থেকে নেওয়া স্বর্ণালঙ্কার ফেরত দেননি। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁদের পাওয়া যায়নি।
বিপাশা শিল্পালয়ের ম্যানেজার প্রসনজিৎ বনিক বলেন, ইয়াদ এসে বলেন তার দোকানে ক্রেতা এসেছে। ক্রেতারা যেসব মডেলের অলংকার চাচ্ছেন সেগুলো তার দোকানে নেই। তাই তিনি আমাদের দোকানে এসে বিভিন্ন ডিজাইনের অন্তত ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার ক্রেতাদের দেখানোর কথা বলে নিয়ে যান। বিকেল ৪টায় গিয়ে দেখা যায় তার দোকান বন্ধ। রাতেও তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। আমরা থানায় অভিযোগ করেছি।
বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জুয়েলারি সমিতির নেতারা। বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি, কুমিল্লার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফ জামান বলেন, ‘আমরা সমিতির পক্ষ থেকে খোঁজ-খবর রাখছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অনুরোধ করব এই প্রতারককে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করা হোক।’
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন বলেন, ‘আমরা একটি প্রতারণার অভিযোগ পেয়েছি। ইয়াদ নামে এক যুবক বিভিন্ন দোকান থেকে অন্তত ৫০ ভরি স্বর্ণ ও কিছু নগদ টাকা নিয়ে পালিয়েছে। ছেলেটির বাড়ি পাবনায়। আমরা তদন্ত করছি।’
Leave a Reply