নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুমিল্লা সিটি করপােরেশনের (কুসিক) ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সােহেল ও সহযোগী হরিপদ সাহাকে এলােপাতাড়ি গুলি করে খুনের ঘটনায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত আসামি সাব্বির ও সাজনকে জানাজা ছাড়াই দাফন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ ম্বর) সন্ধ্যায় পুলিশি পাহাড়ায় সীমিতসংখ্যক পরিবারের সদস্য নিয়ে মরদেহ দাফন করা হয়। তবে এ সময় কোনো মাওলানা ও এলাকার মুসল্লি অংশগ্রহণ করেননি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নগরীর চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক কায়সার হামিদ বলেন, বন্ধুকযুদ্ধে নিহতের লাশ এলাকায় দাফন না করার জন্য সকালে বিক্ষোভ করেছিল স্থানীয়রা। তাই বিকেল কবরস্থান এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এলাকায় মরদেহ না নিয়ে সিটি করপােরেশন নিয়ন্ত্রিত নগরীর টিক্কারচর কবরস্থানে দাফনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করলেও তাদের নামাজে জানাজা পরতে কোনাে মাওলানা ও মুসল্লি এগিয়ে আসেননি। পরে জানাজা ছাড়াই মাগরিব নামাজের কিছু আগে সাব্বির হােসেন ও মাে. সাজনের মরদেহ দাফন করা হয়।
গত সোমবার মধ্যরাতে জোড়া খুনের মামলায় দুই আসামি সুজানগর এলাকার রফিক মিয়ার ছেলে সাব্বির হোসেন (২৮) ও ৫ নম্বর আসামি সংরাইশ এলাকার কাকন মিয়ার ছেলে সাজন (৩২) বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।
উল্লেখ্য, ২২ নভেম্বর বিকেলে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে কাউন্সিলর মো. সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহা মারা যান। এছাড়া আরও ৪ জন গুলিবিদ্ধ হন।
Leave a Reply