(নাজিম উদ্দিন, মুরাদনগর )
কুমিল্লা মুরাদনগরে পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে বাতেন (৩৬) ও কানা লিটন (৩৬) নামে দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। নিহত বাতেন মুরাদনগর উপজেলার বাখর নগর এলাকার শহিদ মিয়ার ছেলে এবং কানা লিটন একই উপজেলার পৈয়াপাথর গ্রামের আব্দুল সামাদ মিয়ার ছেলে। এ সময় তিন পুলিশ আহত হয়।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২ টায় গুন্জর বেড়িবাধের পাশে ভাই ভাই ব্রিক ফিল্ডের সামনে এ ঘন্টা ঘটে। ঘটনাস্থল হতে ৪শ বোতল ফেন্সিডিল, ১ টি পাইপ গান ১ টি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। বাতেনের বিরুদ্ধে মোট ৮টি ও লিটনের বিরুদ্ধে মোট ৭ টি মামলা বিচারাধীন আছে।
কুমিল্লা জেলা পুলিশ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ও অফিসার ইনচার্জ একেএম মনজুর আলম নেতৃত্বে মুরাদনগরের গুন্জর বেড়িবাধের পাশে ভাই ভাই ব্রিক ফিল্ডের সামনে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনার সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ করে। এ সময় পুলিশও আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায়। পরবর্তীতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে তালিকাভূক্ত দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অফিসার ইনচার্জ একেএম মনজুর আলম। পুলিশের বিশেষ অভিযানে কুমিল্লায় ১২ জন মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। লাশ দুইটি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
কুমিল্লায় অভিযানে যেসব মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন:
২২ মে মঙ্গলবার রাত একটায় আদর্শ সদরের বিবির বাজার এলাকায় শরীফ নামের (২৬) পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়। সে সদর দক্ষিণ উপজেলার মহেশপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ৫ টি মাদক মামলা রয়েছে।
পৃথক অভিযানে একই স্থানে পিয়ার আলী (২৮) বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়। সে আদর্শ সদর উপজেলার শুভপুর গ্রামের আলী মিয়ার ছেলে। তার বিরুদ্ধে ১৩ টি মামলা ছিল।
২৩ শে মে বুধবার রাত সাড়ে ১২ টায় আদর্শ সদর উপজেলার চাঁনপুর ব্রীজ এলাকায় ইসহাক ওরোফে ইসা (৩৫) ) পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়। সে আদর্শ সদর উপজেলার আব্দুল জলিলে ছেলে। তার বিরুদ্ধে ১১ টি মামলা রয়েছে।
২৪ মে বৃহস্পতিবার রাত একটায় চৌদ্দগ্রামের আমানগন্ডায় এলাকায় পুলিশের বন্দুক যুদ্ধে বাবুল, ওরোফে লম্বা বাবুল নিহত হয়। সে চৌদ্দগ্রামের বৈদ্দের খিল গ্রামের আমান মিয়ার ছেলে।তার বিরুদ্ধে ৫ টি মামলা ছিল।
একই সময় সদর দক্ষিণ উপজেলার গোয়ালমথন এলাকায় রাজিব (২৬) পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়। সে সদর দক্ষিণ চাঙ্গিনি গ্রামের মৃত শাহ আলম মিয়ার ছেলে। তার বিরুদ্ধে ১৩ টি মামলা ছিল।
২৫ মে শুক্রবার রাত ১২ টায় বুড়িচং উপজেলার মহিষপাড়া এলাকায় কামাল হোসেন, ওরোফে ফেন্সি কামাল (৫১) পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। সে আদর্শ সদর উপজেলার রাজমঙ্গল গ্রামের হিরণ মিয়ার ছেলে। তার বিরুদ্ধে ১২টিরও বেশি মামলা ছিল।
২৬ মে শনিবার রাত দেড়টায় ব্রাহ্মণপাড়ার বাগড়া এলাকায় বাবুল (৪০) পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়। সে ব্রাহ্মণপাড়া আশাবাড়ি গ্রামের আব্দুল মালেকে ছেলে। তার বিরুদ্ধে ১৬ টি মামলা রয়েছে।
২৮ শে মে কুমিল্লার দেবিদ্বারে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান চলাকালে কথিত বন্দুকযুদ্ধে এনামুল হক দোলন (৩৫) নামে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। সে ভিংলাবাড়ী মির্জানগর এলাকার মৃত আব্দুল্লাহ ভূইয়া ছেলে। অাত্মরক্ষার্থে জান-মালের নিরাপত্তায় ২৩ রাউন্ড শর্ট গানের গুলি বর্ষণ করে পুলিশ। এ সময় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়। তার বিরুদ্ধে ১২ টি মামলা রয়েছে।
একই সময় আলমাস(৩৬) নামে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়। সে ব্রাহ্মণপাড়া এলাকায় দক্ষিণ তেতা ভূমি গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ৮ টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া পুলিশের বিশেষ অভিযানে কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলায় নারী সহ কয়েক শতাধিক মাদক সেবী ও মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করা হয়েছে
Leave a Reply