অনলাইন ডেস্ক:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় দুই ট্রেনের সংঘর্ষে নি হতের সংখ্যা বেড়ে ১৫ জনে দাঁড়িয়েছে। মঙ্গলবার (১২) ভোর রাত পৌনে ৩টার দিকে কসবা উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শতাধিক যাত্রী আহত হয়েছেন। তবে হ তাহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানের জন্য তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।
সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে তুর্ণা নিশীথা ট্রেনটি সিগন্যাল অমান্য করে লাইনে ঢুকে উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে ধাক্কা দিয়েছে। তবে প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মিতু মরিয়মকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করে প্রত্যেক পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে দিয়ে ম রদেহ বাড়িতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি আহতের চিকিৎসারও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এর আগে ভোররাত পৌনে ৩টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর ঢাকাগামী তুর্ণা নিশীথা ও সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ৯ জন এবং কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে ২ জন ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১ জন মা রা যান।
অনলাইন ডেস্ক:
ওয়াজের নামে দেশে ধর্মীয় উ’স্কানিমূলক বক্তব্য রাখার দায়ে কুমিল্লা জেলায় তিন বক্তার ওয়াজ নি’ষিদ্ধ করেছে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক মো: আবুল ফজল মীর বলেন, ওই ওয়াজকারী বক্তারা দীর্ঘ বছর ধরে ওয়াজের নামে সাধারণ মানুষকে বি’ভ্রান্তি করে আসছে। তাদের ওয়াজে ইসলামের আদর্শ দেশ প্রেমের চেয়ে উগ্রবাদ প্রকাশ পায়, তাই তাদের ওয়াজ কুমিল্লায় নি’ষিদ্ধ করা হলো।
জেলা আইনশৃং’খলা কমিটির সভায় উপস্থিত পুলিশ সুপার মো: সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, ওয়াজের নামে ব্যাপক শব্দদূষণ হয়, যা কোমলমতি শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের জন্য ক্ষ’তিকর।
যে স্থানে মাহফিল আয়োজন করা হবে সেখানে অবশ্যই সাউন্ড সিস্টেমটি প্যান্ডেলের ভেতরে রাখার সি’দ্ধান্ত নেয়া হয়।
নি’ষিদ্ধ হওয়া তিন বক্তা হলেন তারেক মনোওয়ার, আবদুর রাজ্জাক ও জসিম উদ্দিন। সোমবার কুমিল্লা জেলা আইনশৃং’খলা কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক মো: আবুল ফজল মীর এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
এদিকে জেলা প্রশাসক মো: আবুল ফজল মীর বলেন, ২০২০ সাল হবে মুজিব বর্ষ। আর ১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী পালন উপলক্ষ্যে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন ও সরকারি দফতরগুলো নিজ উদ্যেগে অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী অনুপম বড়ুয়া জানান, মুজিব বর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন প্রতিটি ওয়ার্ডে আলোকসজ্জা করবে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো: মনিরুল হক সাক্কু সব আয়োজন সম্পন্ন করছেন বলে জানান। এদিকে মুজিব বর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলা চেয়ারম্যানবৃন্দ বিভিন্ন প্রস্তাবনা উত্থাপন করেন।
যা রেজুলেশন আকারে নেয়া হয়েছে। সভা সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কায়জার মোহাম্মদ ফারাবী।
Leave a Reply