অনলাইন ডেস্ক:
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টাইচ মসজিদে বন্দুকধারীর হামলায় এ পর্যন্ত ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরতর আহত ২৫। হামলায় ৩ বাংলাদেশিও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুরে জুম্মার নামাজের সময় হামলার ঘটনা ঘটে।
এ হামলা চালান অস্ট্রেলিয়ার এক শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদী সন্ত্রাসী। ভয়ঙ্কর ওই বন্দুকধারীর নাম ব্রেনটন ট্যারেন্ট। ২৮ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ান-বংশোদ্ভূত এই শ্বেতাঙ্গের ছবি জনম্মুখে এসেছে। এই বন্দুকধারী ১৭ মিনিট ধরে ওই হামলার লাইভ ভিডিও প্রচার করেন। ভিডিওটি হামলাকারী নিজেই করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হামলাকারী আল নূর মসজিদের সামনে তার গাড়ি পার্ক করার মধ্যে দিয়ে লাইভস্ট্রিম শুরু হয়। চালকের আসনে বসে থাকা হামলাকারীর পাশের সিটেই অন্তত তিনটি অস্ত্র রাখা দেখা যায়। পরে বন্দুক নিয়ে মসজিদে প্রবেশ করে ওই ব্যক্তি মুহুর্মুহু গুলি চালাতে শুরু করেন
ক্রাইস্টচার্চে সন্ত্রাসী হামলাটি ছিল সুপরিকল্পিত। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডানও এ হামলাকে সুপরিকল্পিত বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, হামলাকারীর গাড়িতে দুটি বিস্ফোরক ডিভাইস যুক্ত করা ছিল। এ হামলার আগেই হামলাকারী টুইটারে ৮৭ পাতার ঘোষণাপত্র আপলোড করে হামলার ঘোষণা দেন।
ওই ঘোষণাপত্রে ব্রেনটন জানান, তিনি একটি নিম্নবিত্ত শ্রমজীবী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পরিবারের লোকজনের ভবিষ্যত নিশ্চিতের জন্য পদক্ষেপ নেন। ইউরোপের মাটিতে সরাসরি অভিবাসীদের সংখ্যা কমাতেই তিনি এই হামলা চালিয়েছেন। এটা করে তিনি অভিবাসী ও ইসলামপন্থি জঙ্গিদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
দু’বছর ধরেই হামলা চালানোর পরিকল্পনা করে আসছেন বলে জানিয়েছেন ব্রেনটন। তিনমাস আগেই ক্রাইস্টচার্চে হামলার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।ব্রেনটনের বক্তব্য, এই হামলা চালানো হয়েছে তাদের এটা দেখানোর জন্য যে, আমাদের দেশ কখনওই তাদের হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত একজন শ্বেতাঙ্গও বেঁচে আছেন ততক্ষণ আমাদের দেশ আমাদেরই। তারা কখনোই আমাদের ভূমি দখল করতে পারবে না। তারা কখনই আমাদের লোকজনের জায়গা দখল করতে পারবে না।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, একটি আধা স্বয়ংক্রিয় শর্টগান ও রাইফেল দিয়ে সাউথ আইল্যান্ডে আল নূর মসজিদে অন্তত ৫০টি গুলি ছোড়েন ব্রেনটন ট্যারেন্ট।ক্রাইস্টাইচ মসজিদে হামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত তিনজন পুরুষ ও এ নারীকে আটক করা হয়েছে।
Leave a Reply