বুড়িচং প্রতিনিধি:
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের আবিদ পুর স্কুল এন্ড কলেজ পরিচালনা কমিটির অভিভাবক সদস্য পদে নির্বাচনে অংশ গ্রহন কেন্দ্র করে মো: কবির হোসেন নামের এক প্রার্থীকে শুক্রবার সকালে প্রতিপক্ষরা দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে মারাত্মাক ভাবে আহত করার অভিযোগে ওই দিন রাতে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ প্রত্যাহার করার জন্য প্রতিপক্ষরা বাদীকে প্রান নাশ বিভিন্ন হুমুকী ধুমকী ভয়ভীতি প্রদান করছে বলে অভিযোগ করছেন বাদী।
হামলা শিকার আহত মো: কবির হোসেন জানান জেলার বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের আবিদপুর স্কুল এন্ড কলেজ পরিচালনা কমিটির অভিভাবক সদস্য পদে তিনি একজন পদ প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেন।আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারী এই পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।তিনি জানান অভিভাবক সদস্য পদে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করায় একই এলাকার মাদক ব্যবসায়ী থানার এজার ভুক্ত আসামীরা আমাকে নির্বাচন প্রত্যাহার করার জন্য বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমুকী ধমুকী দেয় ।আসামী মো:কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে বুড়িচং থানার মাদক মামলা নং ১৪ তাং ১৪ মে ২০১৭।
তারা পূর্ব পরিকল্পত ভাবে গত শুক্রবার সকাল ৬টায় আমার বাড়িতে এসে একই এলাকার মো: কামাল হোসেন,আবু আহাম্মেদসহ বেশ কয়েক জন লোক দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র সহ আমাকে ঘর থেকে টেনে হিছেড়ে বের করে লাঠি রড দিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করে। স্থানীয় লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।খবর পেয়ে বুড়িচং থানাধীন দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ির এ এস আই দেলোয়ার হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।আহত মো: কবির হোসেন জানান কেবা কারা একটি লিফলেট এলাকায় ছড়িয়ে দেয় যা আমি জানি না।এঘটনায় শনিবার রাতে মো: কবির হোসেন বাদী হয়ে কামাল হোসেন,আবু আহম্মেদ সহ অজ্ঞাত কয়েক জনকে আসামী করে বুড়িচং থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।অভিযোগ দায়ের পর থেকে বাদীকে আসামীরা প্রান নাশে হুমকী ধুমকী ভয়ভীতির দেখাচ্ছেন বলে তিনি অভিযোগ করেছেন ।
এব্যপারে কলেজ কমিটির সভাপতি মো: জামাল হোসেন বলেন বিষয়টি যা ঘটেছে তা সামাজিক ভাবে মিমাংশা করার চেষ্ঠা করব।মো: কবির হোসেন কলেজ পরিচালনা কমিটির পুরাতন সদস্য ।
এদিকে অভিযুক্ত আবু আহম্মেদ বলেন যে কলেজ কমিটির নির্বাচন আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারী তাই গ্রামের ১৫জন সাহেব সরদার জুড়ি ভোট গঠন করে দেয় সিদ্ধান্ত দেয় মো: কামাল হোসেন ও আবদুল অহেদ অভিভাবক পদে নির্বাচন করবে।গ্রাম বাসীর সিদ্ধান্ত কবির হোসেন সহ সবায় মেনে নেয়। পরে কবির হোসেন পুনরায় নির্বাচনে প্রার্থীতা ঘোষনা করেন।
আবু আহাম্মেদ বলেন যে এঘটনার পর শুক্রবার রাতে কবির হোসেন আপত্তিকর একটি লিফলেট বের করেন এতে উল্লেখ্য করা হয় ব্যারিষ্টার শরীফ আহাম্মদ,তাজুল ইসলাম,আব্দুল হাই ওনারা কামাল হোসেন ও আব্দুল অহেদের নিকট থেকে ৫০ হাজার টাকা খেয়ে তাদের পক্ষে রায় দেয়।এবিষয়ে কবির হোসেনকে মোবাইলে জিজ্ঞাসা করলে তিনি আমাদের সঙ্গে গালাগালি করেন এবং বাড়িতে যাওয়ার জন্য বলেন।আমরা কবির হোসেনের বাড়িতে গেলে তিনি আমাদের উপর চড়াও হন এবং আমাদের সঙ্গে ওনার হাতা হাতির ঘটনা ঘটে।আমরা ওনাকে কোন ভয়ভীতি দেখাইনি এ অভিযোগ মিথ্যা।
Leave a Reply