1. jagocomilla24@gmail.com : jago comilla :
  2. weekybibarton@gmail.com : Amit Mazumder : Amit Mazumder
  3. sufian3500@gmaill.com : sufian Rasel : sufian Rasel
  4. sujhon2011@gmail.com : sujhon :
শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২৯ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজঃ
কুমিল্লায় গার্ডিয়ান লাইফ ইন্সুরেন্সের বর্ষ সমাপনী উন্নয়ন সভা কুমিল্লায় টমছমব্রীজে ফল্যান্সার শপের উদ্বোধন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং মারা গেছেন না ফেরার দেশে পূজা উদযাপন পরিষদ কুমিল্লার সভাপতি শিব প্রসাদ রায়! জাকের আলির দুর্দান্ত ব্যাটিং ; ১৯০ রানে টার্গেট! ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া যশোরের ভিডিওটি  অভিনয়! তব ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া যশোরের ভিডিওটি  অভিনয়! তবুও ক্ষুব্ধ দেশবাসী!ও ক্ষুব্ধ দেশবাসী! ভারতকে উড়িয়ে এশিয়া কাপের চ্যম্পিয়ন বাংলাদেশ এবার স্ত্রীর ভারতীয় শাড়িতে আগুন দিলেন রিজভী শেখ হাসিনার ‘বিদ্বেষমূলক বক্তব্য’ প্রচারে ট্রাইব্যুনালের নিষেধাজ্ঞা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ শিক্ষক পরিষদের অভিষেক

মর্গে উপচে লাশের সারি বারান্দায়, ব্যাগের ছাইয়ে প্রিয়জনের খোঁজ

  • প্রকাশ কালঃ বৃহস্পতিবার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯
  • ৩৮২

অনলাইন ডেস্ক
‘এই যে আমার ভাইয়ের ভাঙা হাতের রড, এই যে কোমরে বেল্ট -আমার কেনা, এটাই আমার ভাই রনি।’মর্গের ভেতরে ভাইয়ের পোড়া লাশ নিজের হাতে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছিলেন আর আহাজারি করে এসব বলছিলেন-অ্যাডভোকেট সুমাইয়া আজিজ।

বুধবার ( ২০ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে এগারটায় সুমাইয়ার সঙ্গে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এই প্রতিবেদকের দেখা হয় । তখন সেখানে আহতদের নামের তালিকাতে ভাইয়ের নাম আছে কিনা তা খুঁজে দেখছিলেন তিনি।

বৃহস্পতিবার ভোরে ঢামেক মর্গে যখন লাশ আনতে থাকেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা, তখন সেখানে ছুটে যান তিনি। কিন্তু আগুনে পোড়া মৃতদেহগুলির বেশিরভাগই পোড়া ছাই। তাই সুমাইয়ে প্রতিটি লাশের ব্যাগের চেন খুলে খুঁজতে থাকেন ভাইকে। শেষে ভাইয়ের ভাঙা হাতে অপরারেশনের পর লাগানো রড আর নিজের কিনে দেওয়া বেল্ট দেখে তাকে শনাক্ত করেন ।

সুমাইয়ার মত রাতভর ভাতিজাদের খুঁজেছেন চাচা রাসেল কবীর। ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিট, জরুরি বিভাগসহ মেডিকেলে প্রতিটি জায়গায় খুঁজেন। কিন্তু আহত বা দগ্ধদের ভিড়ে দুই ভাতিজা রাজু (৩০) আর মাসুদ রানাকে (৩৫) পাননি। পরে সকাল ৭টায় মেডিকেলে আসা লাশের স্তুপে খুঁজে পান তাদের।

রাসেল কবির সারাবাংলাকে বলেন, ওয়াহেদ ম্যানসনের রানা টেলিকম সার্ভিসের দোকানের ভেতরেই ছিল তারা দুজন। কান্নায় ভেঙে পড়া রাসেল জানান, দিন পনের আগেই বিয়ে করেন চাঁদনীঘাটের বাসিন্দা রানা। আগুন লাগার সময় দুই ভাই ফেক্সিলোডের দোকানে ছিল।তিনি বলেন, এখন কি বলব নতুন বউটাকে, দুই ছেলেই আগুনে পুড়ে মরল, কি বলব আমার ভাই-ভাবীকে?

সুমাইয়া আর রাসেলের মত এমন অনেক স্বজনদের কান্না আর আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ আর এর আশপাশ। মর্গের উৎকট গন্ধ, পোড়া লাশের বিভৎসতা -কোন কিছুর তোয়াক্কা না করেই প্রিয়জনদের খুঁজছেন স্বজনরা।

একের পর এক চকবাজারের ধ্বংসস্তুপ থেকে লাশ বের করে আনছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। আর তা গুনে গুনে গাড়িতে করে পাঠানো হচ্ছে ঢাকা মেডিকেল মর্গে। লাশের সারি এখন মর্গের ভেতর ছাপিয়ে বারান্দায় চলে এসছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে স্বজনদের ভিড়ও । কেউ খুঁজছে বন্ধুকে , কেউ ভাইকে , কেউ স্ত্রীকে । কেউ আবার স্তব্ধ হয়ে বসে আছে মর্গের সামনে।

রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজারে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে নটা পর্যন্ত ৬৭টি লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আনা হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি লাশ নারীর, চার শিশু এবং বাকি ৫৮টি পুরুষের।
১৩ জনের পরিচয় শনাক্ত করেছেন স্বজনরা।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুনঃ

© All rights reserved © 2024 Jago Comilla
Theme Customized By BreakingNews