অনলাইন ডেস্ক:
কুমিল্লায় তৌহিদ (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়েছে। অপহরণের পর থেকে তারা ওই স্কুলছাত্রের পরিবারের নিকট ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আসছিল। পুলিশ তৌহিদের লাশ এবং এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ২ অপহরণকারীকে আটক করেছে।
আটক দুই অপহরণকারীর নাম মাজহারুল ও অপু। সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কুমিল্লা শহর থেকে তাদের আটক করা হয়। ওই ছাত্রের লাশ একটি বালুর মাঠ থেকে উদ্ধার করা হয়।তৌহিদ কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার কোটবাড়িসংলগ্ন সালমানপুর গ্রামের আবু মুছার ছেলে। সে কোটবাড়ি কারিগরী প্রশিক্ষণ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
জানা যায়, রবিবার রাত ১০টা পর্যন্ত স্কুলছাত্র তৌহিদ বাড়ি না ফেরায় তার পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে তাকে খুঁজতে শুরু করে। এরমধ্যে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার পরিবারের নিকট ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা।
তৌহিদের বাবা আবু মুছা বলেন, ‘এ ঘটনায় নিরুপায় হয়ে সদর দক্ষিণ মডেল থানা পুলিশকে জানাই এবং থানায় জিডি করি।’
সদর দক্ষিণ মডেল থানার অধীন কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. আনোয়ার হোসেন জানান, ‘অপহরণকারীরা তৌহিদের পরিবারের নিকট ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ করে আসছিল। এতে আমি ওই ছাত্রের অভিভাবক সেজে অপহরণকারীদের সঙ্গে কথা বলি। মুক্তিপণের টাকা মোবাইল বিকাশের মাধ্যমে দিতে চাইলে তারা নিষেধ করে এবং নগদ টাকা নিয়ে তাদের কথামতো ঠিকানায় যাওয়ার জন্য বলে। পরে তাদের দেওয়া ঠিকানা অনুযায়ী সোমবার বিকালে কুমিল্লা শহরের সাত্তার খান কমপ্লেক্সে তৌহিদের পরিবারের লোকজনকে পাঠাই এবং আমরা তাদের অনুসরণ করি। ওখানে যাওয়ার পর তাদের নিকট থেকে টাকা গ্রহণ করতে আসা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার বাসিন্দা অপু (১৮) নামে এক অপহরণকারীকে আটক করি।
পরে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী শহরের ধর্মপুর রেলওয়ে স্টেশন এলাকার আজমীর হোটেলের ম্যানেজার মাজহারুল (৩৮) নামে অপহরণকারী চক্রের অপর এক সদস্যকে আটক করি। জিজ্ঞাসাবাদে তারা ছাত্র তৌহিদকে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণের জন্য অপহরণের কথা স্বীকার করে এবং তৌহিদকে তারা হত্যা করে মাটি চাপা দিয়ে রেখেছে বলে জানায়। পরে তাদের দেখানোমতে কোটবাড়ি এলাকার গন্ধমতি গ্রামের একটি বালুর মাঠের একপাশে মাটি খুঁড়ে ওই ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’
এদিকে এ ঘটনা জানাজানির পর তৌহিদের বাবা-মা ও স্বজনরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এ ঘটনায় এলাকায় শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।
Leave a Reply