( জাগো কুমিল্লা.কম)
কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান পরিচালনা করে । অদক্ষ রিপোর্ট প্রদানকারী কনসালটেন্ট , অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, ও মেয়াদ উত্তীর্ণ জীবন রক্ষাকারী ওষুধ পাওয়ায় তিনটি হসপিটালকে পৃথক ভাবে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাজহারুল ইসলাম ও জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এম ও সি এস ডা. সৌমেন রায় এ অভিযান পরিচালনা করেন।
সোমবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় পর্যন্ত নগরীর রেলগেইট এলাকার মিশন হসপিটাল, পুলিশ লাইন এলাকার হিউম্যান ডায়াগনস্টিক এন্ড হসপিটাল, ঝাউতলায় জননী ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালানো হয়।
মিশন হসপিটালে মেয়াদ উত্তীর্ণ জীবন রক্ষাকারী ওষুধ পাওয়ায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, হিউম্যান ডায়াগনস্টিক এন্ড হসপিটালকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ , পর্যাপ্ত ডাক্তার ও নার্স না থাকায় ৫ হাজার টাকা, জননী ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অদক্ষ রিপোর্ট প্রদানকারী কনসালটেন্ট ও এক্সরে রুম অপরিচ্ছন্ন থাকায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় তাদের শেষ বারের মতো সতর্ক করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাজহারুল ইসলাম বলেন, আমরা কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন হসপিটাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালাচ্ছি। অভিযানে দেখা যায়. যে পরিবেশ থাকার কথা অধিকাংশ ডায়াগনস্টিক ও হসপিটালে সেই পরিবেশ নেই। কুমিল্লা মিশন হসপিটালের ল্যাব ও অপারেশ থিয়েটারে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ পেয়েছি। কর্তৃপক্ষদের তিনি বলেন, মেয়াদউত্তীর্ণ ওষুধ ও পরিবেশ নিয়ে আরও সতর্ক হতে হবে। মানুষের জীবন মরণ নিয়ে খেলা করা চলবে না। কুমিল্লাবাসীর সঠিক স্বাস্থসেবা নিশ্চিত করা জন্য জেলাপ্রশাসনের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এম ও সি এস ডা. সৌমেন রায় বলেন, কুমিল্লা মিশন হসপিটালের প্যাথলজীতে রোগ নির্নয়ে ব্যবহৃত ওষুধ মেয়াদ উত্তীর্ণ পাওয়া যায়। যা পরীক্ষায় ব্যবহার করলে ভুল তথ্য আসতে পরে। এছাড়া অপরারেশন থিয়েটারে ব্যাথানাশক ওষুধ মেয়াদউত্তীর্ণ পাওয়া যায়। যা ব্যবহার করলে রোগীর মৃত্যুজনিত ঘটনাও ঘটতে পারে।
Leave a Reply